রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশের পর খবিরের কয়েন নিচ্ছে ব্যাংক
মাগুরা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
অবশেষে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম খবিরের (৪৫) জমানো ছয় মণ ওজনের ৬০ হাজার ধাতব মুদ্রা জমা নিতে শুরু করেছে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সোনালী ব্যাংক শাখা।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ খবিরের কাছ থেকে এক টাকা ও দুই টাকার তিন হাজার টাকা মূল্যের কয়েন জমা নিয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (১৯ অক্টোবর) জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে ছয় মণ কয়েন নিয়ে বিপাকে খবির শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে সাড়া পড়ে। টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রামানন্দ পাল বিষয়টি সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা শাখার কর্মকর্তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। এরপর তাদের নির্দেশে সোনালী ব্যাংক কয়েন জমা নেওয়া শুরু করে।
মহম্মদপুর উপজেলা সোনালী ব্যাংক সদর শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মতিন বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ব্যবসায়ী খবিরের কয়েন জমা নেওয়া হচ্ছে। খবিরের নামে সোনালী ব্যাংকে একটি হিসাব খোলা হয়েছে। এখানে প্রতিদিন এক হাজার টাকার কয়েন জমা দিতে পারবেন তিনি। পর্যায়ক্রমে তার সব কয়েন জমা হবে। তিনি পরে চেকের মাধ্যমে কাগজের ব্যাংক নোট তুলে নিতে পারবেন।’
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রামানন্দ পাল বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রতিবেদন দেখে বিষয়টি সমাধানের জন্য উদ্যোগী হই। ব্যাংক কয়েন জমা নিচ্ছে জেনে ভালো লাগছে।’
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম খবির বলেন, ‘ব্যবসার পুঁজির তিনের দুই ভাগ কয়েনের মধ্যে চলে যায়। কয়েনের লেনদেন না থাকায় কষ্টে ছিলাম। এখন কয়েনগুলো ব্যাংক জমা নেওয়ায় আমি খুব খুশি।’
উল্লেখ্য, ১০ বছর ধরে পঁচিশ পয়সা, পঞ্চাশ পয়সা, এক টাকা ও দুই টাকার ধাতব মুদ্রা (কয়েন) জমে যায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী খবিরের কাছে। এসব কয়েন লেনদেন সরকার বাতিল না করলেও খরিদ্দাররা এখন আর নিতে চান না। কার্যত অচল হয়ে পড়া বিপুল পরিমাণ এ কয়েন নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েন।
খবিরের বাড়ি মহম্মদপুর উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে। তিনি সদর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী। ওই গ্রামের মৃত জহুর ফকিরের ছেলে খবির।
শাহীন/সনি
আরো পড়ুন