ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

প্রকল্পের মেয়াদ শেষ, কাজ হয়েছে ২০ শতাংশ

সাইফুল্লাহ হাসান  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০২, ২৩ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১৪:০০, ২৩ অক্টোবর ২০২০
প্রকল্পের মেয়াদ শেষ, কাজ হয়েছে ২০ শতাংশ

মৌলভীবাজার-শমশেরনগর-চাতলাপুর সড়ক

ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি হয় মৌলভীবাজারের চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে। জেলা শহরের সঙ্গে এটিই একমাত্র সংযোগ সড়ক। ১৬ ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ লোকের যাতায়াত এই রাস্তা দিয়ে। কিন্তু ৩ বছর ধরে চরম দুর্ভোগে আছেন এই এলাকার মানুষ।

দুর্ভোগ কমাতে মৌলভীবাজার-শমশেরনগর-চাতলাপুর সড়কটি মেরামতে ৪২ কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালে কাজ শুরু হয়। এই কাজের মেয়াদ ছিল চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও মাত্র ২০ শতাংশ কাজ হয়েছে।

জানা গেছে, মৌলভীবাজার-শমসেরনগর-চাতলাপুর সড়কের ৩৩ কিলোমিটারের মধ্যে ২০ কিলোমিটার ৪২ কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর কার্যাদেশ দেয় সড়ক বিভাগ।

করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত ৬ মাসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান র‌্যাব-আরসি প্রাইভেট লিমিটেড কাজ করেছে মাত্র ২০ শতাংশ। এরপর দীর্ঘদিন কাজ ফেলে রাখায় পুরো রাস্তাতে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। চুক্তি মোতাবেক চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর কাজ শেষ না হাওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী।

মৌলভীবাজার সওজ সূত্রে জানা গেছে, ৩৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার এই সড়কের ২০ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন অংশে কাজ হবে। এর মধ্যে সড়কে যেসব বাজার রয়েছে, সেসব স্থানে কাজ হবে না। বাজার এলাকায় পরবর্তীতে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ হবে। অন্যদিকে যেসব স্থানে বন্যার পানি জমে থাকে সেসব স্থানেও কাজ হচ্ছে না। ওই সব স্থানে উঁচু করে পুনরায় নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে কাজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশাচালক আকরাম হোসেন বলেন, ‘আমরা গাড়ি নিয়ে বিপদে আছি। একবার গেলে ওই রাস্তা দিয়ে পুনরায় যেতে মন চাই না। কিছু করার নেই, অন্য কোনো বিকল্প রাস্তাও নেই। সপ্তাহে কয়েকবার গাড়ি মেরামতে নিতে হয়। ইঞ্জিনে সমস্যা, চাকায় সমস্যাসহ বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।’

স্থানীয় এনায়েত হোসেন বলেন, ‘এই রাস্তায় এতো বেশি ঝাঁকুনি থাকে যে অটোরিকশা দিয়ে আসতে হলে পেটে ব্যথা হয়ে যায়। ১ ঘণ্টার রাস্তা ৪ ঘণ্টাতেও পৌঁছানো যায় না।’

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। কাজের গুণগত মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়। কিন্তু কাজ হয়নি।’

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন রাইজিংবিডিকে জানান,  সড়কের কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে। করোনা ও বর্ষা মৌসুম দেখিয়ে কাজের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।’

মৌলভীবাজার/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়