ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বন্যায় বেহাল মানিকগঞ্জের সড়ক

জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৫, ২৩ অক্টোবর ২০২০  
বন্যায় বেহাল মানিকগঞ্জের সড়ক

মানিকগঞ্জে দুদফা বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  মাস খানেক আগে বন্যার পানি নেমে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের মেরামত কাজ শুরু না হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। 

জানা গেছে, বন্যায় জেলার ৭টি উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ২৯৩.৭৮ কিলোমিটার রাস্তার ৮৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া মানিকগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ১৪ হাজার ৯৫০ মিটার রাস্তার ৮৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

পৌরসভা প্রকৌশলী অফিস থেকে জানা গেছে, পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে ৪ হাজার ২৫০ মিটার, ২ নং ওয়ার্ডে ২ হাজার ১শ মিটার, ৩ নং ওয়ার্ডে ১ হাজার ৬শ মিটার, ৪ নং ওয়ার্ডে ১ হাজার ৪শ মিটার, ৫ নং ওয়ার্ডে ৯শ মিটার, ৭ নং ওয়ার্ডে ১ হাজার ১শ মিটার, ৮ নং ওয়ার্ডে ১ হাজার ৪শ মিটার, ৯ নং ওয়ার্ডে ২ হাজার ২শ মিটার রাস্তা বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 
এলজিইডি কার্যালয় জানায়, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৭.৭০ কিলোমিটার, শিবালয় উপজেলায় ২৪.৭ কিলোমিটার, হরিরামপুর উপজেলায় ৩৮.৫ কিলোমিটার, সিঙ্গাইর উপজেলায় ৪৩.৩৫ কিলোমিটার, ঘিওর উপজেলায় ৫৯ কিলোমিটার, দৌলতপুর উপজেলায় ৩৪.২০ কিলোমিটার ও সাটুরিয়া উপজেলায় ৫৬.৩৩ কিলোমিটার রাস্তা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

ঘিওর উপজেলার বরংগাইল এলাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক জানান, রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা থাকায় ট্রিপ নিয়ে অনেক এলাকায় যাত্রী নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। এতে ট্রিপ সংখ্যা কমে আয় রোজগার কমেছে। 

হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা মোতালেব হোসেন বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা হয়েছে। রাস্তাঘাটগুলো মেরামত না করায় রিকশা, ভ্যানসহ যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে কয়েক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। 

অটোচালক অনিক বিশ্বাস জানান, হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক-নয়ারহাট, বলড়া-আন্ধারমানিক সড়কের বিভিন্ন অংশ ভাঙা।  এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ভেঙে গেছে। একপ্রকার ঝুঁকি নিয়েই এসব এলাকায় যাত্রী পরিবহন করতে হচ্ছে। 
পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা মেহেদী রনি জানান, এমনিতেই পৌরসভা এলাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ। তারমধ্যে বন্যার পানি ওঠায় রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বলেন, দুদফা বন্যায় দৌলতপুর উপজেলার আমতলী থেকে বাচামারা, বাচামারা থেকে চরকাটারি রাস্তার চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। রাস্তা মেরামতের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। 

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো.বেল্লাল হোসেন বলেন,বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।  তবে কোনো অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় এখনো সড়ক মেরামত কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। 

জেলা এলজিইডি কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী একেএম আনিসুজ্জমান জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামতের জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত এসব সড়কের মেরামত কাজ শুরু হবে। 

 

মানিকগঞ্জ/জেডআর

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়