ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

গর্ত থেকে ডোবায় পরিণত হচ্ছে বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর সড়ক 

ফরহাদ হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১২, ২৩ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ০৩:৩৭, ২৪ অক্টোবর ২০২০
গর্ত থেকে ডোবায় পরিণত হচ্ছে বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর সড়ক 

বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের রাস্তার পিচ উঠে তৈরি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টিতে ওই সব গর্তে পানি জমে ডোবায় পরিণত হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার মানুষের যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনের সময় প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ সড়কে এসে।   স্থানীয়ভাবে লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীর হাট নামে পরিচিত সড়কটিতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। 

মজুচৌধুরীরহাটে ফেরি ও লঞ্চঘাট হওয়ায় সাড়ে ১০ কিলোমিটারের সড়কটি জেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়ক। আবার মজুচৌধুরীরহাট এলাকার আশপাশে অন্তত ১০টি বালুমহাল রয়েছে। যেখান থেকে লক্ষ্মীপুরসহ পার্শ্ববর্তী জেলায় বালু বিক্রি হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে ভরপুর হওয়ায় রাস্তাটিতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বেহাল এ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারে সংশ্লিষ্টদের নেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ।

জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সড়কটির লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীরহাট অংশে প্রশস্তকরণ ও কার্পেটিং উল্টিয়ে নতুন করে করার জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয় গত ডিসেম্বরে। প্রায় চার মাস আগে আবারও দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন জটিলতা ও ঠিকাদার ঠিক করতে না পারায় সড়ক উন্নয়ন কাজটির বরাদ্দ আসছে না। সড়কটি সংস্কারের জন্য কয়েকবার অনুমতি চাইলেও কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে আরও কয়েকটি সড়ক সংস্কার করার জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল। তবে জেলা অফিসে যে টাকা রয়েছে, তা দিয়ে সড়কের সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করার কথা ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা। 
আরও জানা গেছ, গত ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে রাস্তাটির উন্নয়ন কাজ হয়। এরপর বিভিন্ন সময় পাঁচ বার আংশিক সংস্কার কাজ হয়েছে। সর্বশেষ সংস্কার হয়েছে ২০১৮ সালে।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, ‘এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা। সড়কটি দিয়ে বাইসাইকেল চালাতে গেলেও সমস্যায় পড়ি আমরা। বড় ট্রাক, বাস, পিকআপ চলতেতো সমস্যা আরও বেশি।  সন্ধ্যার পরই সড়কটি পুরো অন্ধকার হয়ে পড়ে। তখন ঝুঁকিতে চলাচল করতে হয় আমাদের। ’

ট্রাক চালক সুমন হোসেন বলেন, ‘প্রায় দুই বছর ধরে সড়কটির অবস্থা বেহাল। গত ছয় মাস থেকে সড়কের গর্তে পানি জমে পুরো রাস্তাটাই কাদা হয়ে যায়। এতে গাড়ি আটকে যায়। এর কারণে মাঝে মাঝে গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। এ সময় আমাদের দুর্গতির সীমা থাকে না।’
সোহেল নামের একজন সিএনজি অটোরিকশার চালক বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকেই এই রাস্তার বেহাল দশা। সম্প্রতি বর্ষায় সেটি আরও ভয়াবহ হয়েছে। তবুও রাস্তাটি ঠিক করার কোনো তাড়া দেখি না স‌্যারদের।’

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত বলেন, ‘সড়কটি নতুন করে করার জন্য টেন্ডার হয়েছে। বিভিন্ন জটিলতার কারণে বরাদ্দ আসেনি। সড়ক সংস্কারের জন্যও সরকার থেকে কোন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। তবে আমাদের কার্যালয়ের ফান্ডে যে অর্থ রয়েছে, তা দিয়ে সড়কের সমস্যাগুলো সাময়িকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’

লক্ষ্মীপুর/সাজেদ 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়