ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত বরগুনার উপকূল

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০২, ২৩ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১৫:০৫, ২৩ অক্টোবর ২০২০
প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত বরগুনার উপকূল

টানা বৃষ্টির কারণে পানিতে ডুবে গেছে বরগুনা পৌরসভাসহ আশপাশের অনেক এলাকা।  থেমে গেছে সব কাজকর্ম।  এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানের জীবনযাত্রা।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বরগুনা জেলা প্রশাসক রাতে সভা করেছেন।  সভায় জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিপিডিবি এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।  বরগুনায় ৫০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

টানা বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে সদর উপজেলা বরইতলা, পোটকাখালী বাওয়ালকার, খাজুরতলা, পৌর শহরের কলেজ ব্রাঞ্চ, ডিকেপি রোড, কেজি স্কুলসড়কসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।  তালতলী উপজেলার মালিপাড়া, নয়াপাড়া কাজির খাল, ফকিরহাটসহ নিম্নাঞ্চল।  জমির ধান বাতাসে নুইয়ে পড়েছে। মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।

বরগুনা শহরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো মানুষকে চলাচল করতে দেখা যায়নি। 

পাথরঘাটা, বামনা, বেতাগী উপজেলা নিম্নাঞ্চলও ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে।  এ ছাড়া পায়রা-বলেশ্বর ও বিষখালী প্রধান তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিম্নচাপ ও ভারী বর্ষণে নদীর পানি তিন ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। 

বরগুনা সদর উপজেলা খাজুরতলা গ্রামের রাসেল জানালেন, তাদের দুটি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।  ফলে ৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।

তালতলী উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘পুকুরে মাছ ছেড়ে ছিলাম, বিক্রির উপযোগী হয়েছিল।  টানা বৃষ্টিতে আমার সব শেষ হয়ে গেল।  এই পুকুর থেকে প্রতিবছর আমার লাখ টাকার ওপরে আয় হতো।’

আমতলীর টেপুড়া গ্রামের পানের বরজের মালিক ও মৎস্যচাষি মো. আবু ছালেহ বলেন, ‘অতিবর্ষণে মাছের ঘের ও পানের বরজ তলিয়ে গেছে।  ঘের থেকে অনেক মাছ বের হয়ে গেছে।’

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সি এম রেজাউল করিম বলেন, ‘আমন ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।  তবে সবজির খেতে কিছু ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘ঝড় মোকাবিলায় আমরা একটি মিটিং করেছি।  সেখানে আমরা জেলা সিপিডিবি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সবাইকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলেছি।  আমাদের ৫০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে, যদি সংকেত আরও বাড়ে তাহলে উপকূলের মানুষকে আমরা নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসব।  এ ছাড়া বন্ধ থাকা স্কুল–কলেজগুলো মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।  আমরা জেলা শহরের সঙ্গে উপজেলাগুলোর খেয়াপারাপার বন্ধ করে দিয়েছি।  আবহাওয়া শান্ত হওয়ার পর খেয়ায় যাত্রী পারাপার শুরু হবে।’

রুদ্র রুহান/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়