লাশ নিয়ে সড়কে বিক্ষোভ

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে খলিল নামের এক শ্রমিকের লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। পরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বাসার সামনে বুড়িমারী-লালমনিরহাট সড়ক অবরোধ করেন কয়েকশ’ মানুষ। এ সময় সড়কে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে।

স্থানীয়রা খলিলের মৃত্যুর জন্য উত্তরবাংলা কলেজের প্রভাষক এস তাবাস্সুম রায়হান মুস্তাযীর তামন্নাকে দায়ী করেন এবং তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেনকে প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয়রা জানান, কালীগঞ্জের কাশিরাম এলাকার বাসিন্দা ও কাকিনা উত্তরবাংলা কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক এস তাবাস্সুম রায়হান মুস্তাযীর তামন্না ওই এলাকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি করছেন। সম্প্রতি লালমনিরহাট আদালতে হাজিরা দিয়ে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সোমবার মারা যান খলিল।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, খলিলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রভাষক তামন্না এর সঙ্গে জড়িত। তাকে সহযোগিতা করেছেন কালীগঞ্জ থানার ইনচার্জ (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন।

প্রথমে এসিল্যান্ড জাহাঙ্গীর আলম ও পরে ইউএনও রবিউল হাসান অবরোধস্থলে যান। তারা অবরোধ তুলতে ব্যর্থ হলে দুপুর পৌনে ১টায় সেখানে যান সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। প্রথমে অবরোধকারীরা মন্ত্রীকে ফিরিয়ে দেন। পরে দুপুর ২টার দিকে মন্ত্রীর আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা।

কালীগঞ্জের ইউএনও রবিউল হাসান জানিয়েছেন, খলিলের মৃত‌্যুর বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।