ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ধর্ষণের মামলায় এএসআই রায়হানকে ৭ দিনের রিমান্ডে চায় পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ২৯ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১৯:৪৯, ২৯ অক্টোবর ২০২০
ধর্ষণের মামলায় এএসআই রায়হানকে ৭ দিনের রিমান্ডে চায় পিবিআই

রংপুরে গণধর্ষণের মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই রায়হানকে আদালতে নেওয়া হয়

রংপুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই রায়হানের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ ব‌্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আদালত ৪ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কঠোর নিরাপত্তায় এএসআই রায়হানকে হারাগাছের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আমলি আদালতের বিচারক স্নিগ্ধা রায়ের আদালতে নেয় পিবিআই। আদালতে রায়হানের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। 

পরে সন্ধ্যায় এএসআই রায়হানকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার ওই মামলার অন‌্য দুই আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

রোববার থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকলেও বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধর্ষণের মামলায় রায়হানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পিবিআই ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। পরিচয়ের সময় রায়হানুল তার ডাকনাম রাজু বলে জানান ওই ছাত্রীকে। গত শুক্রবার ওই ছাত্রীকে সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়ার বাড়িতে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন রায়হানুল। পরে রোববার ভাড়াটিয়া মেঘলা ও তার সহযোগী সুরভি আক্তারের সহায়তায় আরও দুজন তাকে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় মেঘলাকে আটক করে পুলিশ। ওই রাতে সুরভিকেও আটক করা হয়।

সূত্র জানিয়েছে, একই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদকে রংপুর মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর মুখোমুখি করা হয়। তখন ওই ছাত্রী তাদেরকে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করে।

গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে এএসআই রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ দুজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হারাগাছ থানায় মামলা করেন। সোমবার মামলাটি হারাগাছ থানা থেকে রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়।

মেঘলা ও সুরভি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দেওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের জেল হাজাতে পাঠানো হয়।

এদিকে, বুধবার বিকেলে বাবুল ও আজাদ আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

পিবিআই, র পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানিয়েছেন, রায়হান আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে। পরে তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।

নজরুল/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়