ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সেই দেলোয়ার হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০১, ১ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ২০:০৬, ১ নভেম্বর ২০২০
সেই দেলোয়ার হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে

দেলোয়ার হোসেন

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেনকে একটি হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হযেছে। 

রোববার (১ নভেম্বর) দুপুরে হত্যা মামলায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে দেলোয়ারকে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোস্তাক আহম্মেদ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

এসআই মোস্তাক আহম্মেদ জানান, উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের হাসান হত্যা মামলায় দেলোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বুধবার তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করলে জেষ্ঠ্য বিচারক মাসফিকুল হক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

গত ফেব্রুয়ারি মাসে মাদক ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শরীফপুর ইউনিয়নে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। তখন হাসানকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দেলোয়ার বাহিনীর লোকজন। পরে নিহতের মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন এজাহারভুক্ত ৭নং আসামি।

গত ২ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে ঘরে ঢুকে স্বামীকে বেঁধে রেখে ৩৭ বছরের নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন এলাকার দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা। তারা ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্মম নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন। পরে ওই নারীকে হামলাকারীরা কুপ্রস্তাব দেন। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় ধারণ করে রাখা ভিডিও ৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করলে তা ভাইরাল হয়। এতে ঘটনাটি জানাজানি হয় এবং সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

এরপর জেলা পুলিশ ওই দিন সন্ধ্যায় (৪ অক্টোবর) জেলা শহরের মাইজদী হাউজিং এলাকার একটি বাসা থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে। পরে রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে দেলোয়ার বাহিনীর সহযোগী নূর হোসেন ওরফে বাদলসহ নয়জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় দুটি মামলা করেন। 

পরে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে দেলোয়ার হোসেনকে  ওই দুই মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। 

এরপর ৭ অক্টোবর ওই নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী আবুল কালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে নির্যাতনের শিকার ওই নারী অভিযোগ করেছেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার আগে দেলোয়ার দুইবার তাকে ধর্ষণ করেছেন। একবার ধর্ষণ করা হয় প্রায় এক বছর আগে। আর দ্বিতীয়বার গত রমজানের কিছুদিন আগে। দ্বিতীয়বার ধর্ষণের দিন দেলোয়ারের সহযোগী কালামও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।


 

সুজন/বকুল  

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়