স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় গৃহবধূ গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৪ অক্টোবর) ওই গৃহবধূকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেলদুয়ার থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত (২ নভেম্বর) শনিবার সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী প্রতিবেশী চাচি সুমি বেগমের বাড়িতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর ওই বাড়িতে যায় একই এলাকার রতন শিকদার। এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে সুমি ওই স্কুলছাত্রীকে কেক খাওয়ায়। সে টিউবওয়েলে গিয়ে পানি খেতে চাইলে সুমি তাকে বাধা দেয় এবং রতনকে ঘর থেকে পানি এনে দিতে বলে। রতন পানি এনে খাওয়ানোর কিছুক্ষণ পরেই ওই কিশোরী অচেতন হয়ে পড়ে। সুমির সহযোগিতায় কিশোরীর হাত-পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে চলে যায় রতন।

এদিকে, বাড়িতে না ফেরায় ওই কিশোরীর বড় বোন ও মা তাকে খুঁজতে এসে সুমির ঘরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায়। এ বিষয়ে জানাজানি হলে রতন নির্যাতিতার মায়ের কাছে এসে ক্ষমা চায় এবং কাউকে কিছু না জানানোর অনুরোধ করে।

অপরদিকে, স্থানীয় মাতবররা মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রাতে নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে রতন শিকদার ও সুমি বেগমের বিরুদ্ধে দেলদুয়ার থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

দেলদুয়ার থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে সুমি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত সুমি বেগমকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রতন সিকদার পলাতক আছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।

নির্যাতনের শিকার হওয়া কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কামাল হোসেন।