ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ব্যাহত হচ্ছে মুন্সীগঞ্জের সরকারি নার্সারির কার্যক্রম

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ৫ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৩:৫৭, ৫ নভেম্বর ২০২০
ব্যাহত হচ্ছে মুন্সীগঞ্জের সরকারি নার্সারির কার্যক্রম

মুন্সীগঞ্জে জনবল সংকটের কারণে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে বনবিভাগের সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির নার্সারি কার্যক্রম।

বর্তমানে জেলার নার্সারিগুলোর মোট জনবলের প্রায় অর্ধেক পদই শূন্য রয়েছে। ফলে নার্সারিগুলোতে কর্মরতদেরও বাড়তি চাপ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। সামাজিক বনায়নকেন্দ্র মুন্সীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, জেলার প্রতিটি উপজেলার নার্সারিতে একজন ফরেস্টার, দুইজন বাগান-মালিকের পদ থাকলেও মুন্সীগঞ্জে ছয়টি উপজেলার সবগুলো পদের অনেক জনবলই নেই। এমন কি জেলা কার্যালয়েও দুইটি পদ শূন্য রয়েছে। এতে একদিকে যেমন ব্যাহত হচ্ছে সরকারি বনায়ন কার্যক্রম, অন্যদিকে সরকারি নার্সারিগুলোও পড়েছে  বেহাল দশায়। ফলে গ্রাহকরা পাচ্ছেন না কাঙ্খিত সুবিধা। আর গাছ বিক্রিও কমে গেছে। 

তিনি জানান, জেলার গজারিয়া উপজেলায় বর্তমানে ফরেস্টার পদের একজন আছে, তবে দুইজন বাগান মালিকের মধ্যে একজন নেই। টঙ্গীবাড়ীতে একজন ফরেস্টার থাকলেও নেই কোন বাগান মালিক। লৌহজং উপজেলায় ফরেস্টার নেই, আছেন শুধুমাত্র একজন বাগান মালিক। শ্রীনগর উপজেলায় একজন ফরেস্টার আর দুইজনের মধ্যে আছেন একজন বাগান মালিক। অর্থাৎ ৬ উপজেলার ১৫টি পদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক পদই শূন্য রয়েছে।

জনবল না থাকায় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল অবস্থা মুন্সীগঞ্জ জেলার এসব নার্সারিগুলোর। এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা জেলার লৌহজং উপজেলার সরকারি নার্সারি কেন্দ্রটির। ২০০৪-২০০৫ সালে ৪০ শতাংশ জমিতে নার্সারিটির যাত্রা শুরু হয়েছে। বন্দোবস্ত সময় পার হয়ে গেলেও নতুন করে ভূমি অফিস থেকে দেওয়া হচ্ছে না বন্দোবস্ত। ৪০ শতাংশের অধিকাংশই এখন বেদখলে চলে গেছে। বন্দোবস্ত না থাকায় বেদখলকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারছে না বনবিভাগ। কোন ফরেস্টার না থাকা এ নার্সারির একমাত্র বাগান মালিক অরুণ মিয়াও অবসরে চলে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, ৬টি উপজেলায় বনবিভাগের কোনটিই স্থায়ী জায়গায় উপর করা হয়নি। উপজেলা পরিষদ থেকে জায়গা অস্থায়ী বরাদ্দ নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে সুষ্ঠু-সুন্দর ও পরিকল্পিতভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা।

সামাজিক বনায়নকেন্দ্র মুন্সীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ‘অনেকে অবসরে চলে যাচ্ছেন। তাছাড়া সারাদেশেই বনায়ন কর্মসূচির জনবল সংকট রয়েছে। নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হলে এ সংকট নিরসন হবে। সব উপজেলায় বনায়নের নার্সারির জায়গাগুলো উপজেলা পরিষদের। তারা যে কোনো প্রয়োজনে এটি নিয়ে নিতে পারে। তবে আমাদের পরিকল্পনা চলছে, জেলার প্রতি উপজেলায় ৫০ শতাংশ জমির উপর স্থায়ীভাবে নার্সারি কেন্দ্র করা। এর প্রক্রিয়াও চলছে।'

তিনি জানান, জনবল কম থাকায় যারা আছেন, তাদের নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরেও বাড়তি কাজ করতে হচ্ছে। এবছর ৭০ হাজার চারা গাছের বরাদ্দ এসেছে। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে বরাদ্দকৃত চারার বড় একটি অংশ জেলা কার্যালয়ে রেখে প্রতি উপজেলায় চারাগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে। 

সরকারি এসব চারা গাছ কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

রতন/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়