ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

এএসপি আনিসুল করিম হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ১১ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৯:৪৯, ১১ নভেম্বর ২০২০
এএসপি আনিসুল করিম হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালের কর্মচারীদের ‘মারধরে’ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপন হত্যার বিচারের দাবিতে গাজীপুরে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবার (১১ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন হয়।

এদিকে, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা নিহত আনিসুল করিম শিপনের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের রবরুদা এলাকার বাড়িতে যান। এ সময় তারা নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সমবেদনা জানান।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আনিসুলের স্কুল-কলেজ জীবনের সহপাঠী ও গাজীপুরে সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে রাজবাড়ী সড়কে মানববন্ধন করা হয়। ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধনে কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আমানত হোসেন খান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলর হাসান আজল ভূইয়া, আয়েশা আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেনসহ কয়েকশত মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করা হয়। 

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার নিহত এ্এসপি আনিসুলের বাড়িতে যান। এ সময় তিনি নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। নিহতের ছোটবোন ডা. উম্মে সালমা হাসপাতালের ঘটনা পুলিশ সুপারের কাছে তুলে ধরেন। তখন স্বজনদের আহাজারিতে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের তৈরি হয়। পুলিশ সুপারের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ, একেএম জহিরুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, নন্দিতা মালাকার প্রমুখ।

দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ উপ-কমিশনার (ডিসি-ক্রাইম) শরিফুল ইসলাম নিহতের বাড়ি যান। এ সময় তাদের সঙ্গে নিহত আনিসুলের ব্যাচমেট (৩১তম বিসিএস) ৩০ জন পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তারা নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শান্ত্বনা দেন। 

পরে পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন. ভিডিও ফুটেজ এবং প্রাথমিক তদন্তে তাদের কাছে মনে হয়েছে- এটা হত্যাকাণ্ড। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হয়েছে। ১১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। 

তিনি বলেন, ‘ওই হাসপাতালের লাইসেন্স নেই। যারা চিকিৎসার নামে (আনিসুলকে) নির্যাতন করেছেন, তারা কেউ চিকিৎসক নন, তারা ওয়ার্ডবয়, স্কুল-কলেজের ছাত্র। এ ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা সব সময়ই কাজ করেছি।’ 

নিহতের ভাই রেজাউল করিম বলেন, আনিসুল করিমকে চিকিৎসার জন্য তিনি ও তার বোন সোমবার সকালে রাজধানীর মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নাম লেখানোর সময় কয়েকজন কর্মচারী আনিসুলকে টেনে-হিঁচড়ে দোতলার একটি রুমে নিয়ে যান। সেখানে তারা তাকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ করেন রেজাউল করিম।
 

গাজীপুর/হাসমত/বকুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়