লেপ তোষকওয়ালাদের পোয়াবারো
অমরেশ দত্ত জয় || রাইজিংবিডি.কম
শীতের পরশ লাগতেই লেপ তোষক বানানোর ধুম পড়েছে চাঁদপুরে। লেপ তোষক দোকানি ও কারিগররা বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এখন। আবার ক্রেতারাও পছন্দের লেপ তোষক তৈরি করাতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন।
লেপ তোষকের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ও তোরজোর থাকায় ব্যবসায়ীদেরও পোয়াবারো। তারা মৌসুমী লাভের এই সুযোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইছেন না।
চাঁদপুর শহরের কালিবাড়ি রোড, ষোলঘর, বাবুর হাট ও ওয়াপদা গেটের লেপ তোষকের দোকানগুলোর কারিগরদের এখন ফুসরত নেই।
কালিবাড়ি রোডের একজন ব্যবসায়ী জানালেন, পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীত মৌসুম হওয়ায় কার্তিক থেকেই লেপ তোষকের অর্ডার আসা শুরু হয়। শীতে কষ্ট পেতে চায় না কেউই। একটু আরাম আয়েশ করে ঘুমাতেই জাজিম, বালিশ, লেপ, তোষক, কম্বলের চাহিদাটা বেড়ে যায়। আর ক্রেতা সন্তুষ্টির দামসহ ভাল মান নিশ্চিত করে দ্রুত সময়ে ডেলিভারি দিতে কারিগরদের ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) শহরের বিভিন্ন লেপ তোষকের দোকান ঘুরে দেখা যায়, লেপ তোষকে কাপড়ের মান বুঝে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। ৪-৫ হাত লেপের দাম ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা। আর তোষক ১ হাজার থেকে ১৪০০ টাকায় তৈরি হচ্ছে। ক্রেতারা প্রায় সকলেই একটু ভাল মানেরটাই খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
আলাপ হয় প্রাণকৃষ্ণ, সজল, মিলন, মামুন, মিজানসহ একাধিক ক্রেতাদের সঙ্গে। এরা সকলেই এবার তুলার দাম বেশি বলে অভিযোগ করলেন। বললেন, বেশি চাহিদার সুযোগ নিয়ে ধুনকারেরা (লেপ তোষক নির্মাতা) বেশি দাম নিচ্ছে। কালার তুলা প্রতিকেজি ৩৫ টাকা, মিশালী তুলা ২০ টাকা, সিম্পল তুলা ৮০ টাকা, শিমুল তুলা ৪৫০ টাকা ও সাদা তুলা ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম বাড়ার সাথে সাথে বাজারে নকল তুলার বিক্রিও বেড়েছে বলে জানালেন তারা। তাই এসব বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি নেই বলেও অভিযোগ তাদের।
চাঁদপুর/টিপু
আরো পড়ুন