ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

গুনতে হচ্ছে অ‌্যাসাইনমেন্ট ফি, শিক্ষকের দাবি ‘ফটোকপির টাকা’

সাইফুল্লাহ হাসান, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৬, ১৪ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ০৯:৪৬, ১৫ নভেম্বর ২০২০
গুনতে হচ্ছে অ‌্যাসাইনমেন্ট ফি, শিক্ষকের দাবি ‘ফটোকপির টাকা’

মৌলভীবাজার জেলার মাধ‌্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ‘হোম অ্যাসাইনমেন্টের’ ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। অভিভাবকরা বলছেন, সরকারি নির্দেশনা অমান‌্য করে ২৫০ টাকা পর্যন্ত অর্থ আদায় করছে এসব প্রতিষ্ঠান। তবে, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দাবি, অ‌্যাসাইনমেন্টের জন‌্য কোনো ফি নেওয়া হচ্ছে না। কেবল প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রের ফটোকপির জন‌্য টাকা নিচ্ছেন তারা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুলাউড়া উপজেলার রাবেয়া আদর্শ সরকারি মাধ‌্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাজারের জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা হারে। রাজনগর উপজেলার বিমলাচরণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে ২৫০ টাকা করে। এছাড়া, রাজনগর উপজেলার কদমহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা হারে নেওয়া হচ্ছে। 

এসব বিদ‌্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, বেতনের টাকা মাফ করলেও অ্যাসাইনমেন্টের ফি দিতেই হচ্ছে। আর এই টাকা নেওয়া হচ্ছে ক্লাস টিচারের মাধ‌্যমে। তবে, কোনো রশিদ দেওয়া হচ্ছে না।

টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন কুলাউড়া উপজেলার রাবেয়া আদর্শ সরকারি মাধ‌্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম ও রাজনগর উপজেলার কদমহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান। তারা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফটোকপির জন‌্য ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এই টাকার মধ্যেই তাদের সম্পূর্ণ খরচ। আমরা শিক্ষার্থীদের এ-ফোর কাগজে উত্তরপত্র দিয়েছি।’

তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারের জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম ও রাজনগর উপজেলার বিমলাচরণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রিপন আহমদ। তারা বলেন, ‘এই বিষয়ে কোনো টাকা নেওয়া হচ্ছে না। অনেকে গুজব ছড়াচ্ছেন।’

বিদ‌্যালয়ের পাশাপাশি কুলাউড়া উপজেলার কর্মদা ইউনিয়নের বাবনিয়া হাশিমপুর নিজামীয়া আলীম মাদ্রাসারও শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অ‌্যাসাইনমেন্ট বাবদ ৩০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি স্বীকার করে অধ্যক্ষ মাওলানা আহসান উদ্দিন বলেন, ‘প্রশ্ন ফটোকপি বাবদ এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। ’

এসব অভিযোগের বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার এ এস এম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘প্রত্যেক উপজেলায় মাধ্যমিক কর্মকর্তা ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করেছি। তাদের স্পষ্ট বলা হয়েছে, অ‌্যাসাইনমেন্টের জন‌্য কোনো টাকা নেওয়া যাবে না। যারা সভায় অনুপস্থিত ছিলেন, তারা টাকা নিচ্ছেন।’ যারা টাকা নিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

/এনই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়