ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

প্রাণ ফিরেছে হ্রদ পাহাড়ের শহরে

বিজয় ধর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ১৫ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১১:০১, ১৫ নভেম্বর ২০২০
প্রাণ ফিরেছে হ্রদ পাহাড়ের শহরে

পর্যটকদের আগমনে প্রাণ ফিরেছে রাঙামাটিতে

শীতের মৌসুম শুরু হতে না হতেই পর্যটকে মুখর হয়ে উঠছে হ্রদ পাহাড়ের শহর রাঙামাটি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা বেড়াতে আসছেন। করোনার পর পর্যটকদের আগমনে প্রাণ ফিরেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটক ও শহরবাসী অবসরে ছুটে যাচ্ছেন ঝুলন্ত সেতু, পুলিশ পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো, রাজবন বিহার, রাঙামাটি পৌর পার্ক, কাপ্তাই নেভী ক্যাম্প, উপজাতীয় জাদুঘর, চাকমা রাজবাড়ী, কিংবা আসামবস্তী, কাপ্তাই সড়কের বরগাঙ ও বেড়াইন্যা রিসোর্টে।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা আবিদা সুলতানা বলেন, ‘রাঙামাটি অত্যন্ত সুন্দর একটি শহর। এই শহরটিকে নিয়ে আরও গোছানো ও পরিকল্পিত চিন্তা-ভাবনা করা হলে এর পর্যটন সম্ভাবনা শতভাগ কাজে লাগানো যাবে। লেক পাহাড়ের এ শহরে পর্যটকদের জন্য ভিন্নধর্মী আরও কিছু বিনোদনের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হয়।’

রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারে অবস্থিত হোটেল মতি মহলের স্বত্বাধিকারী শফিউল আজম বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর রাঙামাটিতে অনেক পর্যটক আসছে। আমাদের হোটেলে শনিবার পর্যন্ত বুকিং রয়েছে। আশা করি, পর্যটক আরও বাড়তে পারে।’

পুলিশ পলওয়েল পার্কে চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ। যা আমাকে বিমোহিত করেছে। কাপ্তাই হ্রদের অপরূপ দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর।’

সরেজমিনে দেখা যায় যে, করোনার কারণে  স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বাস, মাইক্রোবাসসহ নানা গাড়িতে করে আসছেন পর্যটকরা। ঘুরছেন পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

বনরুপায় অবস্থিত হোটেল নীডস হিল ভিউ থেকে মো. রাসেল বলেন, ‘আগের তুলনায় এখন মোটামুটি রুম বুকিং আছে। তবে ছুটির দিনগুলোতে এই সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।’ 

এদিকে, চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে ঘুরতে আসা সুমন দাশ জানান, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে পর্যটন স্পটগুলোকে যদি আরও নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয় তাহলে ভবিষ্যতে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে।

রাঙামাটি পর্যটন নৌঘাট ম্যানেজার মো. রমজান আলী বলেন, ‘কয়েকমাস করোনার কারণে সব বন্ধ ছিলো। এখন শীত মৌসুমের শুরুতেই রাঙামাটিতে পর্যটক আসা শুরু করেছে। যদি করোনা প্রকোপ না বাড়ে তাহলে দীর্ঘদিনের আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব বলে আশা করছি।’

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ‘বর্তমানে মোটেলে ৭০ ভাগ রুম বুকিং রয়েছে। শুক্র ও শনিবার মোটেলে বুকিং থাকে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ঝুলন্ত ব্রিজে দৈনিক সাড়ে ৩ হাজার পর্যটকের সমাগম হচ্ছে।’

রাঙামাটি/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়