খুলনায় মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হত্যা: গ্রেপ্তার ৩

খুলনার সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসন মোল্লা হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

হত্যাকাণ্ডের প্রায় সাড়ে তিন বছর পর সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।

গ্রেপ্তার তিন জন হলেন- খুলনা সদর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা বাহাউদ্দিন খন্দকার, সোহরাব হোসেন ও মিরাজ।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে সিআইডি ইন্সপেক্টর শাহাজাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, নগরীর পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৪ জুন ইফতারের পর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেনসহ সাত-আটজন রায়েরমহল এলাকার হামিদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বসে কথা বলছিলেন। 

সে সময় ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী সেখানে অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা শাহাদাত হোসেনকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়ে। ঘাড়ে, হাতে ও বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই শাহাদাত হোসেনের মৃত্যু হয়। সেসময় গুলিতে আহত হন লিয়াকত খান ও তার ছেলে মোস্তফা, বুলবুল ও রুবেল। 

ঘটনার পর ১৭ জুন নিহতর ছেলে আল মামুন সুমন বাদি হয়ে হরিণটানা থানায় অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলা দায়ের করেন।

তদন্তের এক পর্যায়ে ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন খন্দকারের নাম সামনে আসে। সেসময় বাদী আল মামুন সুমনের আপত্তি সত্বেও মামলার তদন্ত সিআইডি পুলিশে হস্তান্তর হয়। 

তদন্তের এ পর্যায়ে সোমবার (১৬ নভেম্বর) খুলনা সদর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন খন্দকার, সোহরাব হোসেন এবং মিরাজকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। 

এ ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল রানা জানান, বাহাউদ্দিন খন্দকার আগের ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে কোনো দলীয় পদে নেই।