সুন্দরবন লঞ্চে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

ঢাকা থেকে বরিশালগামী লঞ্চের ছাদে দুর্বৃত্তরা মো. শামীম তালুকদার (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

নিহত শামীম নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার কুতুবাইন এলাকায় আবির ফ্যাশন নামে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। 

শামীম ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নের জামুরা গ্রামের মো. খালেক হাওলাদারের ছেলে। তার বাবা-মা উভয়ে অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছে। একই ইউনিয়নের কোকিলা গ্রামে মামা নয়ন খানের বাড়িতে থেকেই বড় হয়েছেন শামীম।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) ভোর রাতে এমভি সুন্দরবন-১১ লঞ্চের ছাদে চিমনীর কাছে নিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, ভোর রাত ৪টার দিকে লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করার পর দুর্বৃত্তরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৬টার দিকে লঞ্চের পরিচ্ছন্ন কর্মী আবুল কালাম ছাদে ধোয়া মোছার কাজ করতে গেলে রক্তাক্ত লাশ পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।

পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাতে এমভি সুন্দরবন-১১ লঞ্চে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় শামীম। নিহত যাত্রী ওই লঞ্চের ডেকের যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছেন লঞ্চের সুপারভাইজার মো. সিরাজুল ইসলাম।

বরিশাল সদর নৌ থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দেয়া খবরের ভিত্তিতে তারা ঘটনাস্থল গিয়ে সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রথমে নিহতের পরিচয় পাওয়া না গেলেও সিআইডি তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তার পরিচয় উদঘাটন করে। তবে কারা তাকে হত্যা করছে প্রাথমিকভাবে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি সিআইডি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি’র পরিদর্শক নুরুল আলম তালুকদার।

তিনি জানান, লঞ্চে একটি আইডি কার্ড পাওয়া যায়। কার্ডটি ছিলো শামীমের বন্ধু ও সহকর্মী রিপনের। তিনি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রয়েছেন।

মোবাইল ফোনে রিপন জানায়, শামীম গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য তার ব্যাগটি গত সোমবার চেয়ে নিয়েছিলো। ওই ব্যাগের মধ্যে তার আইডি কার্ডও ছিলো।

ওই আইডি কার্ডের সূত্র ধরে নিহতের পরিচয় উদঘাটন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি’র পরিদর্শক মো. নুরুল আলম তালুকদার।