ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় সাক্ষ্য রেকর্ড

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ১৭ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৭:২৮, ১৭ নভেম্বর ২০২০
কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় সাক্ষ্য রেকর্ড

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় দশম সাক্ষি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুনসুর আহমেদের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। 

তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশনের চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য হওয়ায় সাক্ষিকে জেরা করেননি আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। আগামি রোববার (২২ নভেম্বর) পরবর্তী ১১তম সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

১২২তম কার্যদিবসে দশম সাক্ষি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহম্মেদ সাক্ষ‌্য প্রদান করেন। এই মামলার ৩০ জন সাক্ষির মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন করা হয়েছে। 

সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ জানান, মামলাটির নয় জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর বিগত ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে কোয়াশমেন্ট করেন আসামিরা। এরপর চলতি বছরের ২২ অক্টোবর উচ্চ আদালত থেকে মামলাটির স্থগীতাদেশ প্রত্যাহার হয়ে ৯০ দিনের মধ্যে বিচার কার্য শেষ করার জন্য চিফ জুডিশিয়াল আদালতে প্রেরণ করা হয়। 

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার এক নারীকে দেখতে যান। ওই দিন ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। 

এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। 

পরে আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে সাক্ষি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম।

শাহীন গোলদার/সনি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়