ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পাবনার সেই সিভিল সার্জনকে গাইবান্ধায় বদলি

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৯, ১৭ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৯:৩৩, ১৭ নভেম্বর ২০২০
পাবনার সেই সিভিল সার্জনকে গাইবান্ধায় বদলি

সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল

পাবনার সেই সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবালকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) পদে বদলি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) আদেশের বিষয়টি পাবনায় জানাজানি হয়। এর আগে সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা পরিদপ্তরের উপ-সচিব শারমিন আখতার জাহান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই বদলীর আদেশ দেওয়া হয়। 

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম পাবনার সিভিল সার্জন অফিস, পাবনা মেডিক‌্যাল কলেজ, পাবনা মানসিক হাসপাতাল, পাবনা টিবি ক্লিনিক ও ২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন।

এ উপলক্ষে ওইদিন সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ সুধীজনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডিজি। এ সভায় সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সভা চলাকালে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল ডিজির উপস্থিতিতে আকষ্মিকভাবে সাংবাদিক এবং ক্যামেরাপারসনদের সভা কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় উপস্থিত সবাই হতভম্ব হয়ে পড়েন।

সভায় উপস্থিত পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের সভা থেকে বের করে দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘১৭ জেলার পুরোনো জেলা পাবনা। সিভিল সার্জনের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতায় এই জেলায় এখন পর্যন্ত পিসিআর ল্যাব বা কোভিড টেষ্টের কোনো ব্যবস্থা হয়নি। নিজেদের অনিয়ম দুর্নীতি ঢাকতে সাংবাদিকদের সভা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।’

তার প্রতিবাদে ওইদিন সাংবাদিকরা স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের সকল কর্মসূচি বয়কট করেন এবং পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবালকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। এছাড়া পাবনা জেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় বক্তারা পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবালকে তিরস্কার করেন।

পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কেএম আবু জাফর সিভিল সার্জনের বদলির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সদ্য বদলীকৃত সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবালকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) বদলি করা হয়েছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবনার সাবেক এক সিভিল সার্জন বলেন, ‘উনার পদাবনতি হয়েছে। সিভিল সার্জন এবং সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) পদের মধ্যে অনেক তফাৎ। তাই এটি এক হিসেবে শাস্তিমূলক বদলি।’

শাহীন রহমান/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়