কিশোরগঞ্জে ইমাম হত্যা মামলায় এক নারীর যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের মসজিদের ইমাম মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় ময়না আক্তার নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২২ নভেম্বর) কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যজ্ঞেশ্বর রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মামলার দু্ই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করা হয় বলে জানান তিনি।

আদালতের রায়ে অপর আসামি ময়নার ভাই মনির হোসেনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ময়নাকেও ২ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা করেছেন আদালত।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই পূর্ব বরাটি গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান। তিনি কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর এলাকায় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট রাত ৩ টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর এলাকায় বাজরা-চৌমুড়ি পাকা রাস্তার পাশ থেকে ওই ইমামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই মো. নূরুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ কোনাপাড়া গ্রামের প্রবাসী নজরুল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তার ও তার ভাই মনির হোসেনকে আটক করে। ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল এ দুজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কোহিনূর মিয়া।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যজ্ঞেশ্বর রায় বলেন, অভিযোগপত্র থেকে জানা যায় ঘটনার দিন গভীর রাতে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী ময়নাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান ইমাম মিজানুর রহমান মিজান। এ সময় ময়না তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় ইমামের লাশ বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যান।