ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বাগেরহাটে শিশু অপহরণ-হত্যার দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন 

বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৮, ২৯ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৭:৩৮, ২৯ নভেম্বর ২০২০
বাগেরহাটে শিশু অপহরণ-হত্যার দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মা-বাবার কোল থেকে ঘুমন্ত শিশু (তিনমাস বয়সী) আব্দুল্লাহ অপহরণ ও হত্যা মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আাদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৪৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। 

রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ নূরে আলম আসামিদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন। 

দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন, মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশান বাড়িয়া এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদারের ছেলে হৃদয় ওরফে রাহাত হাওলাদার (২১), জসিম হাওলাদারের ছেলে মহিউদ্দিন হাওলাদার (২২) এবং আব্দুর রশিদ হাওলাদারের ফয়জুল ইসলাম (২৯)। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ভোর রাতে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিশারীঘাটা গ্রামে ঘর থেকে ঘুমন্ত তিন মাস বয়সী শিশু আব্দুল্লাহকে চুরি করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিনই শিশুটির বাবা সিরাজুল ইসলাম সোহাগ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। আসামিদের চাওয়া অনুযায়ী সোহাগ ১০ লাখ টাকা দিলেও তারা শিশুটিকে ফেরত দেয়নি। ১৩ মার্চ হৃদয় ওরফে রাহাত হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে হৃদয়ের তথ্যমতে, ১৭ মার্চ দুপুরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিশারীঘাটা এলাকার একটি রাস্তার পাশে থাকা টয়েলেটের মধ্য থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হৃদয়ের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ৯ মার্চ আদালতে চার্জ গঠন করা হয়। ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এ রায় দেন।

মামলার রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলী রণজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৭ ধারায় আসামিদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তিন জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। এছাড়া দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। আমরা এ রায়ে খুশি হয়েছি। 

তবে মামলার বাদী শিশুটির বাবা সিরাজুল ইসলাম সোহাগ বলেন, আশাছিল ফাঁসি হবে, তারপরও রায়ে খুশি। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।  

টুটুল/এসএম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়