ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মূর্তি-ভাস্কর্য নিয়ে ইমামের আলোচনায় দুই পক্ষের মারামারি, ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ৩০ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ০০:৩৮, ৩০ নভেম্বর ২০২০
মূর্তি-ভাস্কর্য নিয়ে ইমামের আলোচনায় দুই পক্ষের মারামারি, ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে জুম’আর নামাজের খুতবায় মূর্তি ও ভাস্কর্য নিয়ে আলোচনা রাখায় ছাত্রলীগ নেতার বাধায় পড়েন ইমাম। ঘটনাটি নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ও মুসল্লিদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এই ঘটনায় ইমামসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

জানা যায়, গত শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) উপজেলার পশ্চিম বাছিরপুর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মামুনুল হক জুম’আর খুতবায় মূর্তি ও ভাস্কর্য নিয়ে আলোচনা রাখেন। আলোচনা চলাকালে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া ইমামের কথায় বাধা দিয়ে বলেন মূর্তি ও ভাস্কর্য এক নয় এবং ভাস্কর্য ও মূর্তি যে এক এ কথাটি বুঝিয়ে দিতে হবে।

পরে মসজিদের ইমাম তাকে বলেন, নামাজ শেষে বিষয়টি বুঝাবেন। এ কথা শোনার সাথে সাথে মুসল্লিরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। ইমাম সবাইকে শান্ত করে নামাজ আদায় করেন।

নামাজ শেষে বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ও মুসল্লিদের মধ্যে আবার কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এসময় তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় মুসল্লিদের একজন আহত হন। পরে ইকবাল ভূইয়া ফোন করে পুলিশকে ঘটনাস্থলে এনে ৫ জনকে আসামী করে মামলা করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বলেন, মসজিদে আলোচনা চলাকালে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইমামকে নিয়ে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। মুসল্লিগণ তার কথায় প্রতিবাদ করেন।
 
মসজিদের ইমাম মাওলানা মামুনুল হক বলেন, জুম’আর আলোচনায় এমন কোন কথা বলিনি যে কথার জেরে মারামারি হবে। তারপরও আমি বিষয়টি দু’পক্ষের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করেছি।
 
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করতে যে টাকা ব্যয় হবে তা গরীবের মধ্যে বিতরণ করলে তারা উপকৃত হবে। এমন কিছু কথাই বলেছি। এই কথা বলার পর ইকবাল ভূইয়া হৈ-হুল্লোড় শুরু করে। মসজিদের ভিতরে তার বাবা কাইয়ূম ভূইয়াও আমাকে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। শুনেছি আমাকে প্রধান আসামী করে আরও ৪ জনের বিরোদ্ধে মামলা করেছেন ইকবাল ভূইয়া।

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, ইমাম তার আলোচনায় বর্তমান সরকার গরীবের টাকা মেরে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি তৈরি করছেন। আমি এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছি। নামাজ শেষে এটা নিয়ে আমার কিছু ছোট ভাইদের (ছাত্রলীগ কর্মীদের) সাথে জামায়াতের কিছু মানুষের ঠেলাধাক্কা হয়।

জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, মসজিদে কি বলছে না বলছে এটা নিয়ে মারামারি হয়। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে মামলা করেছেন।

সাইফুল্লাহ/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়