ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ৬ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ২০:৩৯, ৬ ডিসেম্বর ২০২০
ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ 

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে জেলাশহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ওই ভাস্কর্যের সামনে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কয়েকজন তরুণ একটি মাইক্রোবাসে এসে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে শহরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

রোববার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরের পর থেকে কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্নস্থানে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।   

কুষ্টিয়া পৌরসভার বিজয় উল্লাস চত্বরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খাঁন, সাধারণ সম্পাদক আজগার আলী প্রমুখ।

কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে কার্যত স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর কামড় দিয়েছে। সেই ঘটনার জের ধরে প্রতিবাদের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশবেষ্টিত অবস্থায় কীভাবে, কয়েকজন তরুণ মাইক্রোবাসে এসে বীরদর্পে গুলি চালিয়ে চলে গেলো? পুলিশ তা শনাক্ত করতে পারলো না। এটা আমাদের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’ 

ঘটনাস্থল শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ের বাসিন্দা ব্যবসায়ী নেতা এস এম কাদরী শাকিল বলেন, ‘পুলিশের উপস্থিতিতে যেভাবে গুলি করে বীরদর্পে তরুণরা চলে গেলো, তাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে আতঙ্কে আছি। ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত।’ 

উদ্ভুত পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, এখনও যারা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, মানে না, তারাই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে।

ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে রোববার (৬ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছে পুলিশ। সেই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।  

 

কাঞ্চন/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়