গৃহবধূ নাছিমার মৃত্যু: পুনরায় তদন্তের দাবি পরিবারের
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় তিন সন্তানের জননী নাছিমা বেগমের (২৭) মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে পুনরায় তদন্তের দাবি জানিয়েছে তার পরিবার।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে নাছিমা বেগমের বড়বোন হোস পিয়ারা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার চাচাত বোন শেফালী বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নাছিমা বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় হোস পিয়ারা বেগম নবীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে চাইলে পুলিশ কৌশলে যৌতুক আইনে মামলা নেয়। হোস পিয়ারা বেগম গত ১১ ফেব্রয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক এফআইআর করে আগের করা মামলার সঙ্গে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নবীনগর থানার এসআই মো. মনিরুল ইসলাম আসামিপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) দিয়েছেন। লাশ কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্ত করে নিহতের ঘটনার তদন্ত করার দাবি জানানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, নাছিমা বেগমের লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ভিসেরা রিপোর্টে স্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলা হওয়ায় তিনি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১০ বছর আগে নবীনগর উপজেলার ওয়ারুক গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে দানিছ মিয়ার সঙ্গে একই উপজেলার চরিলাম গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের মেয়ে নাছিমা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দানিছ মিয়া যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করতেন। এছাড়াও দানিছ মিয়া প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এতে বাধা দেওয়ায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি দানিছ মিয়া স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে অর্ধমৃত অবস্থায় বাড়িতে রেখে পালিয়ে যান।
পরে নাছিমার বাবার বাড়ির লোকেরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠালে পথে নাছিমা বেগমের মৃত্যু হয়।
পরে লাশ নবীনগরে তার স্বামীর বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহতের মা আম্বিয়া খাতুন, ভাই আরমান হোসেনসহ পরিবারের লোকজন।
রুবেল/বকুল
আরো পড়ুন