সাত সন্ধ্যায় মোড়ে মোড়ে শীতের পিঠার ঘ্রাণ
ফরহাদ হোসেন || রাইজিংবিডি.কম
শীত এলেই বোঝা যায় পিঠা বাঙালির কতটা পছন্দের। এসময় প্রতিটি ঘরে তৈরি হয় নানা ধরনের পিঠা। ঘরের চৌহদ্দি পেরিয়ে পিঠার বিচরণ এখন হাট-বাজারগুলোতেও। এসময় রাস্তার মোড়ে মোড়ে দেখা যায় চিতই-ভাপাসহ নানা ধরনের পিঠা। সন্ধ্যা নামতেই পিঠার সুগন্ধে ভরে ওঠে শহুরে বাতাস।
লক্ষ্মীপুর-রায়পুরসহ জেলার প্রতিটি পৌর শহর ও বাজারের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান চোখে পড়ার মতো। রাস্তার ধারে মাটি ও গ্যাসের চুলায় তৈরি হচ্ছে নানান ধরনের পিঠা।
ধোঁয়া ওঠা এসব পিঠার স্বাদ বাড়িয়ে তোলে ধনেপাতা বাটা, সরষে বাটা, কালোজিরার ভর্তা, শুঁটকিসহ নানা ধরনের ভর্তা। আর এসব রসনায় চাখতে অনেকেই ভিড় করছেন দোকানগুলোতে।
ক্রেতাদের অনেকেই সেখানেই দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন। আবার অনেকে বাসার জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। স্বাদে ভালো, দামেও কম। তাই স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এসব পিঠার স্বাদ নেওয়া কষ্টকর কিছু না।
পিঠা ব্যবসায়ী সবুজ হোসেন বলেন, ‘পিঠার মূল আকর্ষণ হচ্ছে ভর্তা। গরম গরম পিঠা সরিষা ও শুটকির ভর্তা দিয়ে এখানেই দাঁড়িয়ে খান ক্রেতারা। কেউ কেউ আবার বাসার জন্যও নিয়ে যাচ্ছেন। এখন শীত বেশি, তাই বিক্রির পরিমাণ বেশি। পিঠা বিক্রি করে আশানুরূপ লাভ থাকছে।
পিঠা ব্যাবসায়ী সাদিকুর রহমান বলেন, ‘এবার চাল, নারিকেল, গুড় ও তেলের দাম বেশি। এজন্য পিঠা তৈরিতে অন্যান্য বছরের তুলনায় খরচ কিছুটা বেশি। আবার ক্রেতারাও পিঠার সঙ্গে ভর্তা বেশি খাচ্ছেন। তবু বিক্রি বেশি হচ্ছে বলে খনিকটা পুষিয়ে নেওয়া যাচ্ছে।’
লক্ষ্মীপুর/সনি
আরো পড়ুন