ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: সাফাই সাক্ষ‌্য দেবেন রিজভী 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৫:৫৯, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: সাফাই সাক্ষ‌্য দেবেন রিজভী 

সাতক্ষীরায় সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় সাফাই সাক্ষ‌্য দেবেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রিজভীর সাফাই সাক্ষ‌্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবীরের আদলত তিন জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ‌্যগ্রহণ শেষে এ আদেশ দেন।

সাফাই সাক্ষীরা হলেন, কলারোয়া উপজেলার গদখালী গ্রামের রহিম বক্স মোড়লের ছেলে মোবারক আলী মোড়ল, সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া মাস্টার পাড়ার শাহজাহান কবীরের ছেলে সিটি কলেজের প্রভাষক মনিরুজ্জামান মনি ও তালা মেলা বাজারের শেখ তয়জদ্দিনের ছেলে ও তালা মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষক শেখ শফিকুল ইসলাম। তারা যথাক্রমে আসামি গোলাম রসুল, তামিম আজাদ মেরিন ও রকিব মোল্লার পক্ষে সাক্ষ‌্য দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ‌্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, সুজিত চ্যাটার্জী, সহকারী অ‌্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা ও সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ। 

আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন হাইকোর্টের আইনজীবী শাহানারা আক্তার বকুল, আব্দুল মজিদসহ কয়েকজন আইনজীবী।

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষণের শিকার স্ত্রীকে দেখতে আসেন। হাসপাতাল থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৭০-৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। 

এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা শেখ সফিকুল ইসলাম। 

সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষের আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আদেশ দেন। একইসঙ্গে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন।   

এ পর্যন্ত ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। ৪৯ জন আসামির মধ্যে ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। 

শাহীন গোলদার/ইভা

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়