খুলনায় মুজিব বাহিনীর কমান্ডারসহ ৪১২ মুক্তিযোদ্ধা যাচাই তালিকায়
মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার ও সাবেক সংসদ সদস্য স. ম. বাবর আলীসহ খুলনার ৪১২ জনের নাম মুক্তিযোদ্ধার যাচাই বাছাই তালিকায় রয়েছে।
আগামী ৯ জানুয়ারি তাদের যাচাই বাছাই কমিটির কাছে উপস্থিত হয়ে যুদ্ধের বিবরণসহ মুক্তিযোদ্ধার প্রমাণাদি জমা দিতে হবে।
প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের অংশ হিসেবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সুপারিশ বহির্ভূত বেসামরিক গেজেট আকারে প্রকাশিত ব্যক্তিগণ ওই যাচাই বাছাই কমিটির সামনে উপস্থিত হবেন। যাদের নাম ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তায় অন্তর্ভুক্ত তারা যাচাই বাছাইয়ের আওতার বাইরে থাকবেন। মহানগরী এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা যাচাই বাছাই কমিটির কাছে এবং উপজেলা পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বেসামরিক গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে মহানগরী এলাকায় ৬০ জন, তেরখাদা উপজেলায় ৮৩ জন, পাইকগাছা উপজেলায় ৪৯ জন, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৪৪ জন, দাকোপ উপজেলায় ৩৭ জন, দিঘলিয়া ও ডুমুরিয়া উপজেলায় ৩৫ জন করে, কয়রা উপজেলায় ২৫ জন এবং ফুলতলা উপজেলায় ৯ জন আছেন।
গেজেটভুক্ত বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা যারা ভাতা পাচ্ছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক প্রধান ও সাবেক সংসদ সদস্য স ম বাবর আলী, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. সোহরাব আলী সানা, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, নাগরিক নেতা শেখ আব্দুল কাইয়ুম, নগর সিপিবি নেতা অ্যাড. ফিরোজ আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আবু জাফর,পাইকগাছার জিন্নাত আলী হাওলাদার, সরদার আব্দুল মাজেদ, জিল্লুর রহমান, ডুমুরিয়ার অহেদুর রহমান, কায়সেদ শেখ, দুলাল চন্দ্র পাল, কয়রার আবু হায়দার, মমতাজ উদ্দিন সানা, এ এম এম মাহবুবুর রহমান, ইস্কান্দার কবির বাচ্চু, শামছুজ্জামান টিপু, নগর জাসদের সাবেক সভাপতি মো. কায়কোবাদ আলী, ক্রীড়া সংগঠক হাসান রুমী, অ্যাড. আ ব ম নূরুল আলম প্রমূখ।
মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার ও সাবেক সংসদ সদস্য স ম বাবর আলী জানান, স্বাধীনতার পর পরই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা হলে আজ যাচাই বাছাই করার প্রয়োজন হতো না। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচিত না হওয়ায় বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে। তিনি যাচাই বাছাই কমিটির সামনে উপস্থিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আবু জাফর জানান, দলীয় বিবেচনায় যাচাই বাছাই হলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা অনেকেই বাদ পড়তে পারে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর, খুলনার উপ-পরিচালক খান মোতাহার হোসেন জানান, গেজেটভুক্ত বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধাদের প্রমাণাদিসহ যাচাই বাছাই কমিটির সামনে উপস্থিত হতে হবে।
খুলনা/নূরুজ্জামান/বুলাকী
আরো পড়ুন