ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চুমু খেতে বাধা দেওয়ায় শিশু মাইশাকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৯, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৭:১৮, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
চুমু খেতে বাধা দেওয়ায় শিশু মাইশাকে হত্যা

প্রতিবেশী জহুরুল হককে চুমু খেতে বাধা দিয়েছিল চার বছরের শিশু মাইশা আক্তার। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে আঘাতও করেছিল। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মাইশাকে হত‌্যা করে ডোবায় ফেলে দেয় জহুরুল।  

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) নগরীর কেরানীপাড়া এলাকা থেকে জহুরুলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন ঘাতক জহুরুল।  

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, শিশুটির পরিবার ও অভিযুক্ত জহুরুল (৪৫) প্রতিবেশী। মাইশা তাকে ‘দাদু’ বলে ডাকতো। জহুরুলের স্ত্রী ও কন্যা তার শ্বশুরবাড়িতে থাকার সুবাদে একা থাকত সে। গত সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জহুরুল মাইশাকে মোয়া কেনার জন্য দুই টাকা দেয়। মাইশা মোয়া কিনে আনলে জহুরুল কৌশলে তাকে বাড়ির ভেতর নিয়ে যায় এবং চুমু খায়। এসময় মাইশা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তাকে আঘাত করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাইশাকে সজোরে ধাক্কা দেয় জহুরুল। মাইশা পাশে থাকা বাঁশের ওপর গিয়ে পড়ে। এতে বুকে আঘাত লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত‌্যু হয় মাইশার।  

এরপর মাইশার লাশ বস্তায় ভরে বাড়ির মধ‌্যে লুকিয়ে রাখে জহুরুল। রাত ১১টার দিকে প্রতিবেশীর ডোবায় লাশ ফেলে গা ঢাকা দেয় সে। পরদিন মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ মাইশার লাশ ডোবা থেকে উদ্ধার করে। 

মাইশা রংপুর নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের বড়বাড়ি সরকারপাড়া গ্রামের মিস্ত্রী মনোয়ার হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। রংপুর পিবিআই স্ব উদ্যোগে ওই মামলার তদন্ত করে। 

তদন্তে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জহুরুলকে নগরীর কেরানীপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় জহুরুল। 

নজরুল মৃধা/সনি/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়