ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শিশু রত্নাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়: পিবিআই 

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৩, ৫ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৩:২৩, ৫ জানুয়ারি ২০২১
শিশু রত্নাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়: পিবিআই 

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় শিশু রত্না (৯) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, রত্নাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঘটনা ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। 

মামলার আসামি ইসমাইল হোসেনকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানা থেকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার (৪ জানুয়ারি) যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিকের আদালতে সোপর্দ করলে তিনি রত্নাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। 

গ্রেপ্তার ইসমাইল হোসেন কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল (সরদারপাড়া) গ্রামের কালাচাঁদ সরদারের ছেলে। রত্না সম্পর্কে ইসমাইলের নাতনী। রোববার (৩ জানুয়ারি) রাতে ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই স্নেহাশীস দাশ বলেন, ইসমাইল হোসেন স্বীকার করেছেন, ভাঙাড়ি ব্যবসার সুবাদে তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানা এলাকায় থাকেন। বাবা কালাচাঁদ সরদারের অসুস্থার কথা শুনে তাকে দেখতে ২১ নভেম্বর বিকেলে কেশবপুরের বাড়ি আসেন। ওই দিন বিকেলে ঘরে ঢুকে রত্নাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে রত্না চিৎকার দিলে ইসমাইল তার নাক, মুখ চেপে ধরলে রত্না নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ইসমাইল ঘটনাকে ভিন্নরুপ দেওয়ার জন্য ওড়না গলায় পেচিয়ে রত্নাকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর তিনি ঘর থেকে কৌশলে বেরিয়ে যান। আটকের পর ইসমাইল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এ কথা স্বীকার করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘরের আড়া থেকে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রত্নার লাশ উদ্ধার করা হয়। তখন এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। পরে ময়না তদন্তের রিপোর্টের পরিপেক্ষিতে নিহত রত্নার বাবা জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৯ ডিসেম্বর কেশবপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় আসামিকে অজ্ঞাত দেখানো হয়। 

রিটন/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়