ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

খুলনা নগরের সব পয়েন্টের ট্রাফিক সিগন্যালই অকেজো

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৭, ৭ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১১:০৮, ৭ জানুয়ারি ২০২১
খুলনা নগরের সব পয়েন্টের ট্রাফিক সিগন্যালই অকেজো

নগরীতে হাতের ইশারায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছেন ট্রাফিক সদস্য

খুলনা মহানগরে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রক হিসেবে ব্যবহৃত সবগুলো পয়েন্টের ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যালই অকেজো অবস্থায় রয়েছে।

সিগন্যাল লাইট থাকলেও সেগুলো রয়েছে অচল। ফলে হাতের ইশারায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগকে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ১৬টি পয়েন্টে ১৯৮৪ সালে সিগন্যাল লাইট স্থাপন ও দেখভাল শুরু করে কেসিসি। পয়েন্টগুলো হচ্ছে দৌলতপুর বাস স্ট্যান্ড, নতুন রাস্তা মোড়, জোড়াগেট, শিববাড়ি মোড়, পাওয়ার হাউস মোড়, ফেরি ঘাট, ডাকবাংলো, পিকচার প্যালেস, সদর থানার মোড়, সদর হাসপাতালের মোড়, সার্কিট হাউজ মোড়, হাজী মহসিন মোড়, পিটিআই মোড়, রয়েল মোড়, শান্তিধাম মোড় এবং ময়লাপোতা মোড়। ২০০৭ সাল পর্যন্ত করপোরেশনের পক্ষ থেকে এগুলো মেরামত, বিদ্যুৎবিল পরিশোধসহ দেখাশুনা করেন। কিন্তু সময়ের তাগিদে নতুন স্পটে সিগন্যাল লাইট স্থাপন করা জরুরি হওয়া, আধুনিক মেশিন স্থাপন এবং দেখভালের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সিগন্যাল লাইটের প্রতি আগ্রহ হারায় সিটি করপোরেশন।

সরেজমিনে নগরীর ১৬টি ট্রাফিক পুলিশের সিগন্যাল পয়েন্টে ঘুরে দেখা যায়, সবগুলো সিগন্যাল লাইট অকেজো হয়ে পড়ে আছে। সর্বশেষ কবে লাল-সবুজ বাতি জ্বলেছে সেটাও কেউ বলতে পারেন না। অনেক সিগন্যাল পয়েন্টের লাইট এবং কোথাও সিগন্যাল পয়েন্টের স্ট‌্যান্ডও ভেঙে গেছে।

বিষয়টি স্বীকার করে খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জাহিদ হোসেন শেখ জানান, সবগুলো সিগন্যাল পয়েন্ট অকেজো। এইসব মেশিন ঠিক না করে আধুনিকায়ন করতে হবে। এছাড়া ১৬টি পয়েন্ট দিয়ে নগরীর যানজট নিরসন সম্ভব নয়। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে ৩৫ পয়েন্টে সিগন্যাল লাইট স্থাপন করা প্রয়োজন।

এদিকে, ট্রাফিক বিভাগের সূত্রে জানা যায়, এ বিভাগে জনবলের সংকট রয়েছে। যানবাহন প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

উপ-কমিশনার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন সিগন্যাল লাইট না থাকায় সমস্যা বেড়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আধুনিকায়ন নগরায়নে সিগন্যাল লাইট না থাকাটা অসামঞ্জস্য।

প্রসঙ্গত, কেএমপিতে ৭৫ জন সার্জেন্টের বদলে ২৬ জন, এটিএসআই ৫০ জনের বদলে ৩৯ জন এবং ২৫৬ জন কনস্টেবলের বদলে আছে ১৯৭ জন।

খুলনা/নূরুজ্জামান/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়