ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চসিক নির্বাচনের মাঠ

রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ১৩ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৯:১৮, ১৩ জানুয়ারি ২০২১
উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চসিক নির্বাচনের মাঠ

চসিক নির্বাচনের সহিংসতায় নিহত বাবুলের স্বজনদের আহাজারী, ইনসেটে বাবুল।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনের মাঠ। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে তত উত্তেজনা বাড়ছে।

আগামী ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশ ও মাঠ প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে থাকলেও সাধারণ ভোটাররা নির্বাচনের সময় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। 

এখন পর্যন্ত মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে কোন সংঘাতের ঘটনা না ঘটলেও আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিল প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে সংঘাতের ঘটনায় ইতোমধ্যে প্রাণ গেছে এক পরিক্ষিত আওয়ামী লীগ কর্মীর। 
গতকাল মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাতে নগরী পাঠানটুলি ওয়ার্ডে একটি পোস্টার ছেড়ার ঘটনার বিরোধে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাছ কাদেরের সমর্থকদের গুলিতে আজগর আলী বাবুল (৫৫) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। 
এ ঘটনায় আরও এক আওয়ামী লীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নগরীর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে এই খুন ও সংঘাতের ঘটনার পর পুরো সিটিতেই নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কা করছেন সাধারণ ভোটাররা।

পাঠানটুলি ওয়ার্ডে খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে নগর পুলিশের ডবলমুরিং থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদ রানা জানান, আজগর আলী বাবুল নিহতের ঘটনায় নিহতের ছেলে সেজান মাহমুদ বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

এর আগে ঘটনার পর পরই পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল কাদেরসহ ২৬ জনকে আটক করা হয়। মামলায় যে আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আবদুল কাদের (৫০), হেলাল উদ্দিন প্রকাশ হেলাল (৪০), ওবাইদুল করিম মিন্টু (৪৫), আবদুল ওয়াদুদ রিপন (৪২), আবদুর রহিম রাজু (৪৫), আসাদ রায়হান (৩৫), আলাউদ্দিন আলো (৩৫), ইমরান হোসেন ডলার (২৪), দিদার উল্লাহ (৪৮), সালাউদ্দিন সরকার (৪৫), দেলোয়ার রশিদ (৪২), মো. আলমগীর (৪৫) ও আবদুন নবী (৪৭)। 
পুলিশ জানিয়েছে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি থানার পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী জনসংযোগ, প্রচার-প্রচারণায় পুলিশি অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে বিরোধ এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র দুই মেয়র প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা চলছে শান্তিপূর্ণ ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম নগরীকে আধুনিক বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাতদিন জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

রেজাউল করিম/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়