ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বরগুনা পৌর মেয়রের জামাতাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫০, ১৫ জানুয়ারি ২০২১  
বরগুনা পৌর মেয়রের জামাতাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর তিন কর্মী ও সমর্থককে মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বরগুনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন হামলায় নৌকা সমর্থক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনের জামাতা ও তার মেয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মহসিনা মিতুলের স্বামী মো. আরিফ হোসেন খানকে (৪০)।

এছাড়া, মামলায় আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র (আ.লীগ থেকে বহিষ্কার)  মো. শাহাদাত হোসেনের ১৬ কর্মী ও সমর্থককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার সময় বাদীর সহধর্মিণীর শ্লীলতাহানিসহ তার ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।

এদিকে, বুধবার গভীর রাতের এ ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকেই তিন অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। দায়ের করা মামলায় আটক এ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে সন্ধ্যায় আদালতে পাঠায়।

বিষয়টি জানিয়েছেন বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. শহিদুল।

গ্রেপ্তাররা হলেন— মামলার ১২ নম্বর আসামি বাপ্পি (২৮), ১৩ নম্বর আসামি ইশতি (২৬) এবং ১৪ নম্বর আসামি রাসেল (৩০)।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—আমিনুল ইসলাম সুমন (৩৫), পরান কৃষ্ণ বনিক (৫৬), লিটন বনিক (২০), জালাল ফকির (৫৫), স্বপন (৪৫), পবিত্র সমাদ্দার (৩৮), মো. ছগির হাওলাদার (৪৫), মীর আবুল কাশেম (৪৮), মো. দুলাল (৪৫), মো. সাইফুল ইসলাম রাসেল (২৮), আ. ছালাম (২৫), মো. শামিম (২৫), এবং মো. রাজিব (৩৫)।

মামলায় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নিজের ঘরের সামনের রাস্তায় নৌকা প্রতীকের পোস্টার লাগানোর সময় বাদি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধাওয়া দেয় অভিযুক্তরা। এসময় তিনি দৌড়ে নিজ ঘরে আশ্রয় নিলে, ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে মারধর শুরু করেন অভিযুক্তরা।

এসময় তাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে শ্লীলতাহানি করে অভিযুক্তরা। পরে মারধর শেষে মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাও লুটে নেয় তারা।

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমার কর্মীদের মারধর করে উল্টো আমার কর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে, এটা ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া কিছু না। আমি হতাশ ও বিষন্ন। আমি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব বাঁধা মোকাবেলা করতে প্রস্তত।’

মামলা প্রসঙ্গে মেয়র প্রার্থীর জামাতা আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘আমি বিষ্মিত ও হতবাক। ঘটনাস্থলে থাকা তো দূরে থাক, এ ঘটনা আমি শুনেছি পরে অথচ মামলায় আমি প্রধান আসামি।’

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. শহিদুল বলেন, এ ঘটনায় আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

রুহান/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়