ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নাটোরের বিআরটিএ অফিস দালালদের আখড়া

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৫, ১৫ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৪:৩৭, ১৫ জানুয়ারি ২০২১
নাটোরের বিআরটিএ অফিস দালালদের আখড়া

আরিফুল ইসলাম, নাটোর: বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নাটোর কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, দালালদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে কার্যালয়টি। ওই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে গড়ে উঠেছে দালালদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। 

লালপুর উপজেলার ধুপাইল গ্রামের মুনসুর আলী মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়ার জন্য আসেন বিআরটিএর নাটোর কার্যালয়ে। তাকে বিভিন্ন অজুহাতে ঘোরাতে থাকেন ওই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে এক ব‌্যক্তির ম্যাধমে পরিচয় হয় দালাল চক্রের অন্যতম হোতা গোলাম কিবরিয়া মিজানের সঙ্গে।

লাইসেন্সের জন‌্য মুনসুর আলীর কাছে সাড়ে ৬ হাজার টাকা দাবি করেন মিজান।

মিজানের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। মিজান জানান, বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় কাজ করেন দালালরা। 

আরেক দালালের সঙ্গে কথা বলে একই তথ‌্য জানা যায়। মিজান বলেন, ‘লাইসেন্সের জন‌্য পরীক্ষা দেবেন। সাদা খাতা জমা দিয়ে আসবেন। পাস করানোর দায়িত্ব আমাদের ওপর ছেড়ে দেবেন।’ 

বিআরটিএ অফিসের সামনে গেলে সেবাগ্রহীতারা অভিযোগ করেন, গাড়ির ফিটনেস লাইসেন্স এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে এলে ভোগান্তি পোহাতে হয়। দালাল না ধরলে কোনো কাজই হয় না। লাইসেন্স প্রতি দুই গুণ, তিন গুণ টাকা বেশি দিতে হয়। 

বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. রাসেদুজ্জামান সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘আমি কিছু দিন আগে এখানে যোগ দিয়েছি। আমার অফিসের কেউ অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না। বাইরের দালাল চক্রকে রোধ করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। বিআরটিএ অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।’

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেছেন, ‘নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকেই বিআরটিএ অফিসে সেবাগ্রহীতাদের ভিড় বেড়েছে। এই সুযোগে দালাল চক্র সক্রিয় হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা একজন দালালকে আইনের আওতায় এনেছি। দালালদের তালিকা করা হয়েছে। বিআরটিএ অফিস দুর্নীতিমুক্ত করতে জেলা পুলিশ তৎপর আছে।’
 

নাটোর/আরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়