ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন বসুরহাটের ভোটাররা

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ১৬ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ০৯:৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২১
প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন বসুরহাটের ভোটাররা

দেশব্যাপী দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। প্রথমবারের মতো এ পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে এ ভোট শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। 

রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার রবিউল আলম এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন। 

এ নির্বাচনে মেয়র পদে তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন— আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা, বিএপির প্রার্থী কামাল উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন। নয়টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৫ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলা নির্বাচন অফিসের তথ‌্য মতে,  ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত বসুরহাট পৌরসভার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ১১৫ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ১০ হাজার ৪৯৪ জন, পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৬২১ জন। মোট  নয়টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।

এদিকে, প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররা। পৌরসভার ১ নম্বর কেন্দ্র উদয়ন প্রি ক্যাডেট একাডেমিতে ভোট দিয়ে  গৃহিণী বিবি হাজেরা বলেন, ‘সেই ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। ভোট দেওয়ার তাড়া আছে। ঘরে ফিরে কাজ করতে হবে। ইভিএমে খুব সহজে ভোট দিয়ে দিলাম। সময় বেশি লাগলো না।’

একই কথা জানালেন  ২ নম্বর কেন্দ্র রামদি পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের আরেক নারী ভোটার।

এদিকে, আলোচিত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা ভোট দিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এ পৌর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য আমি আগেই প্রশাসনকে অনুরোধ করেছিলাম। আমি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হতে আশাবাদী। আর যদি জয়ী হই, সেই জয় হবে গণতন্ত্রের, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের, এ এলাকায় ওবায়দুল কাদেরের উন্নয়নের।’

নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার রবিউল আলম। তিনি জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সবরকম প্রস্তুতি রয়েছে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রে ৯ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে আছেন। এছাড়া, একজন জ‌্যুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সারাদিন নির্বাচনি এলাকায় অবস্থান করছেন। ৪ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ৩ টিম, প্রতি কেন্দ্রে পুলিশের মোবইল টিম কাজ করছে। তাছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর স্ট্রাইকিং টিম প্রস্তুত আছে।

জেলা নির্বাচন অফিসার আরও জানান, নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বা ব্যাঘাত ঘটে এমন কিছু বরদাশত করা হবে না। ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে এসে অবাধে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই। তাই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য আমরা প্রস্তুত।

উল্লেখ‌্য, সম্প্রতি এ পৌরসভার ভোট নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক কৌতুহল দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার দল, দলীয় কিছু সাংসদ, দলীয় কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা এবং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের বক্তব্য সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তোলে। তার বক্তব্য নিয়ে দল ও দলের বাইরে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন মহলে তার দেওয়া বক্তব্যগুলো প্রশংসিত হয়েছে, আবার নিন্দাও কুড়িয়েছে।

সুজন/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়