ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘অরা বাঘ মাইর‌্যা ফালাইছে, কীভাবে মারে জানি না’

বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪১, ২০ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৮:৪৭, ২০ জানুয়ারি ২০২১
‘অরা বাঘ মাইর‌্যা ফালাইছে, কীভাবে মারে জানি না’

‘আমার যা সাজা হবার তা দেন, আলহামদুল্লিাহ। এমন কাজ আমার দ্বারা আর হবে না। এটা একটা অপরাধ। অরা বাঘ মাইর‌্যা ফালাইছে, কীভাবে মারে তা আমি জানি না।’

বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে বাঘের চামড়াসহ আটক গাউস ফকিরকে বাগেরহাট বন বিভাগের অফিসে আনা হয়। সেসময় সবার সামনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় বন বিভাগের কর্মকর্তা, বনরক্ষী ও র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বাঘের চামড়াসহ গাউস ফকিরকে আটক করে র‌্যাব-৮ এর সদস‌্যরা।

গাউস ইকর আরও বলেন , ‘আমি সুন্দরবনে ১২/১৩ বছর বনজীবী হিসাবে কাজ করি। অহিদুল নামের একজন আমাকে চামড়াটা দিছে। আমি অশিক্ষিত গরিব মানুষ। ভুল করে লোভে পড়ে চামড়া নিয়েছি। এছাড়া আমি বেশি কিছু জানি না।’

বন্যপ্রাণি নিধন আইনে বাঘ হত্যার অপরাধে মামলা দায়ের পূর্বক গাউস ফকির ও চামড়া আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

গাউস ফকির শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ সাউথখালী এলাকার মৃত রশীদ ফকিরের ছেলে।তিনি দীর্ঘদিন সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে মাছ ধরেন।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি গাউস ফকির একটি বাঘের চামড়া বিক্রির চেষ্টা করছেন। ক্রেতা সেজে চামড়াটি ক্রয়ের জন্য গত তিন চার দিন ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। বিভিন্ন পর্যায়ে দর কষাকষি শেষে ১৩ লক্ষ টাকা চুক্তিতে চামড়াটি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

‘পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী র‌্যাব-৮ এর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সহযোগিতা নিয়ে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়। টাকা দিয়ে চামড়া নেওয়ার সময় হাতে নাতে গাউস ফকিরকে আটক করা হয়।”

ডিএফও মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমরা যতদূর জানি খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে বাঘ মারা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে তারা বাঘের চামড়াটিকে লোকালয়ে নেওয়া হয়। বাঘের চামড়াগুলো বেশিরভাগ সময় ঢাকার বিভিন্ন এজেন্সির কাছে বিক্রি করা হয়।’

টুটুল/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়