ভাতিজিকে ব্লেড দিয়ে রক্তাক্ত করার দায়ে চাচা গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শান্তা আক্তার (২৫) নামে তিন সন্তানের জননীকে হাত-পা বেঁধে মারধর শেষে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে চিরে রক্তাক্ত করার দায়ে চাচাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের শিলাউর গ্রাম থেকে চাচা আলী মিয়াকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওসি আবদুর রহিম বলেন, ‘শান্তাকে রক্তাক্ত করার ঘটনায় তার মা রৌশন আরা বাদী হয়ে শান্তার তিন চাচা হুমায়ূন মিয়া, আলী মিয়া ও রতন মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের শিলাউর গ্রাম থেকে শান্তার চাচা আলী মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকী আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
উল্লেখ্য, শান্তা আক্তার সুলতানপুর ইউনিয়নের শিলাউর গ্রামের আলগাবাড়ির আইয়ুব মিয়ার মেয়ে। তিনি একই গ্রামের পাশাপাশি বাড়ির রাজমিস্ত্রী রাসেল মিয়ার স্ত্রী। দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জননী তিনি।
কয়েক দিন আগে শান্তার ছেলের সঙ্গে চাচা হুমায়ূন মিয়ার ছেলের ঝগড়া হয়। এ নিয়ে হুমায়ূন মিয়া শান্তাকে গালাগাল করে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
রোববার সন্ধ্যায় শান্তা ডাক্তার দেখাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে যেতে বাড়ি থেকে বের হয়। সেসময় চাচা হুমায়ূন মিয়া মুখোশপরা কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে শান্তাকে আটক করে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে।
বেধড়ক মারধর করার পর শান্তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে চিরে রক্তাক্ত জখম করে। শান্তার চিৎকারে তার মা রওশন আরাসহ স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হুমায়ূন মিয়া ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা আহত শান্তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন শান্তা।
আরও পড়ুন > ভাতিজিকে পিটিয়ে-ব্লেড দিয়ে চিরে রক্তাক্ত করলেন চাচা
মাইনুদ্দীন রুবেল/সনি
আরো পড়ুন