ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

নবরূপে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্র

এস বাসু দাশ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৪, ২১ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১০:৩৬, ২১ জানুয়ারি ২০২১
নবরূপে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্র

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উপবন পর্যটন কেন্দ্রকে এবার দেখা যাবে নবরূপে।  পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনের জন্য এখানে তৈরি করা হচ্ছে নানা স্থাপনা। সৃষ্ট এই শৈল্পিক নতুনত্বে বিনোদন স্পটটি আরো কাছে টানবে পর্যটকদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মনোরম এই স্পটটি নাইক্ষ্যংছড়ির মূল বাজার থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থিত। এই পর্যটনকেন্দ্রে রয়েছে বিশাল লেক। আর লেকের ওপর রয়েছে আকর্ষনীয় ঝুলন্ত সেতু। শুধু তাই নয়, উপবন পর্যটনটি নতুনভাবে সাজাতে প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পয়েন্টে নতুন রূপে তৈরি হচ্ছে রেলিং, পর্যটকদের চলাচলের জন্য আকর্ষনীয় সিঁড়ি, পর্যটকদের বসার জন্য আকর্ষনীয় চেয়ার-টেবিল, নতুন সাংস্কৃতিক মঞ্চ এবং শিশুদের শিশু পার্ক। এর বাইরেও আরো নতুন নতুন ভিউ পয়েন্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এই পর্যটনকেন্দ্রে নতুন নতুন শৈল্পিক অবকাঠামোতে মুগ্ধ হবেন পর্যটক।

উপবন পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে আসা পর্যটক আলমগীর কবির বলেন, বান্দরবানের যে কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে নাইক্ষংছড়ির এই পর্যটন কেন্দ্রটি অন্যতম হলেও প্রচারের অভাবে অনেক পর্যটকই জানতে পারছেন না। অথচ কম খরচে স্বল্প দূরত্বে এই পর্যটনকেন্দ্রটি বেড়ানোর লোভনীয় স্পট।

নাইক্ষ্যংছড়ির বাসিন্দা শামীম ইকবাল বলেন, নতুন করে পর্যটনকেন্দ্রটিতে আকর্ষনীয় সিঁড়ি, চেয়ার-টেবিল, নতুন সাংস্কৃতিক মঞ্চ, শিশু পার্কসহ যেসব স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে- তার শৈল্পিক গুরুত্বও অনেক।

জানা যায়, ১৯৯৬ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় উপবন পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে উঠে। এরপর ধীরে ধীরে এ কেন্দ্রটির পরিচিতি বাড়ে। অনেক টিভি নাটক, চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপন চিত্রায়িত হয়েছে এই উপবনে। পরিচিতি পাওয়ার কারণে এই পর্যটন কেন্দ্রে এখন প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে।

পর্যটন কেন্দ্রটি নাইক্ষ্যংছড়িতে হলেও কক্সবাজার থেকে দুরত্ব মাত্র ৩২ কিলোমিটার।  তাই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই এখানে বেড়াতে আসা সহজ।

নাইক্ষংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জানালেন, উপবন পর্যটন কেন্দ্রটি নতুনভাবে সজ্জিত করার জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।  পর্যাপ্ত বাজেট পেলে উপবন পর্যটন কেন্দ্রটিকে আকর্ষনীয় করার আরো উদ্যোগ নেওয়া হবে। 

নতুন করে একটি কনফারেন্স রুম, একটি অত্যাধুনিক রেস্টুরেন্ট তৈরিসহ আরো বেশ কিছু ভিউ পয়েন্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। 

বান্দরবান/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়