ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দলের নেতাদের নৌকার পক্ষে কাজ করার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর

মাগুরা প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৭, ২৬ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১০:৫৪, ২৬ জানুয়ারি ২০২১
দলের নেতাদের নৌকার পক্ষে কাজ করার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর

বিএনপির পরাজিত মেয়র প্রার্থী ইকবাল আখতার খান কাফু

সদ্য অনুষ্ঠিত মাগুরা পৌরসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পেছনে নিজ দলের নেতাদের একটি অংশের নৌকার পক্ষে কাজ করার অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থী ইকবাল আখতার খান কাফু। তিনি এ বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। 

গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৩৩ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে জামানত হারান ইকবাল আখতার। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খুরশীদ হায়দার ৩৯ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন। বিপরীতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল আখতার পান ৬ হাজার ৬৯ ভোট।

কেন্দ্রীয় বিএনপির কাছে দেওয়া অভিযোগে ইকবাল আখতার বলেছেন, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েজন নেতা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার পাশাপাশি প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দিয়েছেন।

তবে এ ধরনের অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ দাবি করেছেন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা। তারা বলছেন, বিএনপির যে অংশটি ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আঁতাত করে বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধা নিয়েছেন, ত্যাগী নেতাকর্মীদের জেল–জুলুম–হয়রানি করেছেন, এটা তাদের নতুন ষড়যন্ত্র।

নির্বাচনের পর ২১ জানুয়ারি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইকবাল আখতার। ওই চিঠিতে পৌর বিএনপির সভাপতি মাসুদ হাসান ওরফে কিজিল খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুর রহিম, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সানাউল হক, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন রানা, যুবদলকর্মী খান মাহাবুবুর রহমান ও সজল খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তিনি।  

কেন্দ্রে অভিযোগ দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বিএনপি প্রার্থী ইকবাল আখতার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমি আসলে দলের কাউকেই পাশে পাইনি। এরপর দলের ওই অংশ বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, যে কারণেই ফলাফলে এ বিপর্যয়।’

বিএনপির এই প্রার্থীর অভিযোগ, দলের এই অংশকে নেতৃত্ব দেন গত সংসদ নির্বাচনে মাগুরা–১ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মনোয়ার হোসেন খান। দলের ওই অংশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশে প্রকাশ্যে বিএনপির বিপক্ষে কাজ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।  

তবে অভিযোগের বিষয়ে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ হাসান বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে উনার (ইকবাল আখতার) বাড়িতে পৌর বিএনপির একাধিক বৈঠক হয়েছে। কোনোভাবেই তাকে ভোটের মাঠে নামাতে পারিনি আমরা। উনি আসলে একজন নির্বাচনি অতিথি পাখি।’  

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, কেন্দ্রে নেতাকর্মীদের নামে অভিযোগ পাঠানোয় বিব্রত জেলা বিএনপি। নির্বাচনের আগ-মুহূর্তে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর নামে দুটি মামলা দেওয়া হয়। যেসব নেতাদের নামে কেন্দ্রে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তাদের অনেকেই সেই মামলার আসামি। নানাভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিলো, যে কারণে কেউই সেভাবে মাঠে নামতে পারেননি। 

দলের কাছে দেওয়া ইকবাল আখতার খানের এ সব অভিযোগ তার ব্যক্তিগত বলে জানান জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আখতার হোসেন। 
 

শাহীন/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়