করোনা রোগীশূন্য শেবাচিম হাসপাতাল
জে খান স্বপন, বরিশাল || রাইজিংবিডি.কম
দীর্ঘদিন পর বরিশালের শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা রোগীর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) ওই ওয়ার্ডের সর্বশেষ করোনা রোগী পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া উপজেলার খালেদা বেগম সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ শেবাচিম হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডের কার্যক্রম শুরু হলেও প্রথম রোগী ভর্তি হন ৮ এপ্রিল। এ ওয়ার্ডে ১৩৬ রোগী মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ৮১৭ জন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা ওয়ার্ডে এ পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৫ জন। তাদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিলেন ৯৫৩ জন। এ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ৪২৬ রোগীর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ১৩৬ জন। মৃত ১৩৬ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৬ জন ও নারী ৩০ জন। তাদের মধ্যে ০ থেকে ১০ বছর বয়সী ১ জন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৩০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৪৮ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ২০ জন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী ৬ জন।
বর্তমানে এই ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত একজন রোগীও চিকিৎসাধীন নেই বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এসএম মরিুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত একজন রোগীও এখানে ভর্তি হননি। সর্বশেষ করোনা রোগী পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়ার খালেদা বেগম আজ বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে চলতি সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা করে হাতেগোনা কয়েকজনকে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।’
করোনা ওয়ার্ড রোগীশূন্য হওয়ায় সেখানে কর্মরত সব চিকিৎসক-নার্সসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসক থেকে শুরু করে সব পদে জনবল সংকট। অল্প জনবল নিয়ে করোনা ওয়ার্ড চালু করা হয়েছিল। ১৩৬ জন ছাড়া বাকি সব রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ায় আমরা আনন্দিত। এই ওয়ার্ডে যেসব রোগী করোনায় মারা গেছেন, তাদের কেউই যথাসময়ে হাসপাতালে আসেননি। তাদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। ভর্তির পরপরই মারা গেছেন, এমন রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল।’
স্বপন/রফিক
আরো পড়ুন