ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে রোগীর ভোগান্তি
অলোক সাহা, ঝালকাঠী || রাইজিংবিডি.কম
ঝালকাঠি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সময়মতো কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
২৪ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশু বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. সালাহ-আল-দীন-বীন-নাসির, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আবুয়াল হাসানের কক্ষ বন্ধ। কক্ষের সামনে রোগীর ভিড়। এমনচিত্র দেখা গেছে, আরও দু-একজন চিকিৎসকের কক্ষের সামনে। অনেক রোগী কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসককে না পেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের জুনিয়র চিকিৎসককে দেখাচ্ছেন।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার কিফাইত নগর গ্রাম থেকে হাসপাতালে আসা মোক্তার হোসেন বলেন, তিনি তার দেড় মাসের শিশু কন্যাকে দেখাতে এসে ডা. সালাহ-আল-দীন-বীন-নাসিরকে না পেয়ে বাধ্য হয়ে ডা. তপতী রানীকে দেখিয়েছেন।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা সদর উপজেলার বিকনা গ্রামের শুভ বেপারি অভিযোগ করেন, দুই দিন ধরে তিনি হাসপাতালের ভর্তি আছেন। কিন্তু তার কাছে কোনো চিকিৎসক একবারের জন্যও আসেননি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি জানুয়ারি মাসে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়নি। সর্বশেষ গত ৩১ ডিসেম্বর এক পরিবারের চারজন রোগী ভর্তি হন। চিকিৎসা নিয়ে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এই হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৩৫ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন, যার মধ্যে ৩৩ জন সুস্থ হয়েছেন। বাকি দুইজন মারা গেছেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাফর দেওয়ান দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসকের কক্ষ বন্ধ থাকার বিষয়ে বলেন, উনারা নিয়মিত রোগী দেখেন। আজ হয়তো কোনো কারণে আসতে দেরি হচ্ছে।
হাসপাতালে ঠিকমতো চিকিৎসা না পাওয়া ও রোগীদের ভোগান্তির বিষয়ে ডা. জাফর দেওয়ান বলেন, এখানে আইসিইউ ও অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উত্তীর্ণ করা হলেও জনবল রয়েছে ৫০ শয্যার। অনেক পদ শূন্য রয়েছে। এত সীমাবদ্ধতার পরও চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তারা রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।
ঢাকা/বকুল
আরো পড়ুন