ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৪, ২৯ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১০:২১, ২৯ জানুয়ারি ২০২১
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল

নানা সংকটে জর্জরিত মাদারীপুর সদর হাসপাতাল। নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক। অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের অভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না আধুনিক যন্ত্রাপাতি। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। এতে চরম বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুবছর আগে ২৫০ শয্যায় উন্নতি করণের লক্ষ‌্যে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। তবে শুরু হয়নি ২৫০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম। হাসপাতালটি বর্তমানে ১০০ শয্যার হলেও জনবল রয়েছে ৫০ শয্যারও কম।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন চিকিৎসক সংকট ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনুপস্থিতিসহ নানা সমস্যায় ব্যাহত হচ্ছে সদর হাসপাতালের কার্যক্রম। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা অন‌্য কোনো বেসরকারি হাসপাতালে পাঠাচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে নেই কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ, রেডিওলজিস্ট। হাসপাতালে দক্ষ টেকনিশিয়ান না থাকায় করা যাচ্ছে না আলট্রাসোনোগ্রাম ও উন্নতমানের পরীক্ষা, নষ্ট হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। রোগীদের অভিযোগ চিকিৎসকরা নিয়মিত রোগীও দেখেন না।

চিকিৎসা নিতে আসা হামিদ শেখ নামে একজন বলেন, ‘আমি একটা সমস্যা নিয়ে মাদারীপুর সদর হসাপাতালে এলাম। এসে দেখি ডাক্তার নেই।’ 

আরেক রোগী এলেম ফকির বলেন, ‘আমি হাসপাতালে যে ডাক্তারের কাছে এসেছিলাম তিনি রুমের ভেতরে থাকেন, আর রোগীরা থাকে দরজার বাইরে। এভাবেই রোগী দেখেন। কিন্তু ক্লিনিকে তো ঠিক মতোই রোগী দেখেন। আমাদের সঙ্গে এমন করে কেন? আমরা গরিব বলে কি সেবা পাবো না?’

‘নিরাপদ চিকিৎসা চাই’ সংগঠনের মাদারীপুর শাখার সভাপতি মশিউর রহমান পারভেজ বলেন, ‘মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ১৮৭৬ সালে যাত্রা শুরু করে। দেশের প্রাচীন একটি হাসপাতাল। অথচ অনেক সেবাই এখানে পাওয়া যায় না। তাই আমরা চাই, দ্রুত ২৫০ শয্যা চালু হোক। সরকারি সব চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হোক।’

মাদারীপুরের সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম জানান, শিশু বিশেষজ্ঞসহ একাধিক পদে আরও অনেক লোক দরকার। জনবল সংকট নিরসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়া, ২৫০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হবে দ্রুত। কার্যক্রম শুরু হলে সংকট কেটে যাবে।’

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়