ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়িগ্রামে

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৬, ৩১ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১০:৩৮, ৩১ জানুয়ারি ২০২১
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়িগ্রামে

আজ কুড়িগ্রামে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সূর্যের দেখা না মেলায় উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠাণ্ডার মাত্রা। এ অবস্থায় কনকনে ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামের মানুষ। এতে করে ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবন।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষন সুবল চন্দ্র সরকার জানায়, রোববার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ অবস্থা আরও দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত চলতে পারে। গত এক সপ্তাহ ধরে দিনের বেলা কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও সন্ধ‌্যা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল প্রকৃতি। 

এদিকে, ঠাণ্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষি শ্রমিকরা। বোরো চাষের ভরা মৌসুম চললেও কনকনে ঠাণ্ডায় শ্রমিকরা ঠিকমত মাঠে কাজ করতে পারছেন না। এতে ব্যাহত হয়ে পড়েছে বোরো আবাদ। কনকনে ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র পারিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা।

কুড়িগ্রামের রাজারহাটের বালাকান্দি গ্রামের কৃষি শ্রমিক রমজান আলী জানান, এই ঠাণ্ডায় এমনিতেই হাত-পা বাইরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তার ওপর পানিতে নেমে রোয়া লাগানো অসাধ্য হয়ে পড়েছে।

শহরের রিকসাচালক হযরত আলী জানান, গত কয়েকদিন রাতের বেলা ঠাণ্ডা বেশি থাকলেও দিনে তেমন ঠাণ্ডা ছিল না। কিন্তু আজ যে অবস্থা তাতে গরম জামা কাপড় গায়ে লাগিয়ে রিকসা নিয়ে বেরিয়েছি। কিন্তু টেকা যাচ্ছে না। শিরশির বাতাস জামা-কাপড় ভেদ করে ভিতরে ঢুকছে।

অন্যদিকে, টানা শীতে জেলার হাতপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগে।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক‌্যাল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক রোগীর চেয়ে কিছুটা বেশি। হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ‌্যা বাড়ছে। এই সময়ে সচেতন থাকার কোনো বিকল্প নাই।

বাদশাহ/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়