ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

১০ গ্রামের মানুষ এক সাঁকোতে

জামালপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৩:১৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
১০ গ্রামের মানুষ এক সাঁকোতে

বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর গ্রামের এক বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করে ১০ গ্রামের মানুষ। ফলে সেই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে জিঞ্জিরাম নদী পারাপারের মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই।

বকশীগঞ্জ বগারচর ইউনিয়ন ভৌগলিকভাবে ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। প্রায় ২শত বছর আগে ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ হয়ে জিঞ্জিরাম নদী বাংলাদেশের বগারচর ইউনিয়ন হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিশে যায়। বর্তমানে নদীটি প্রায় মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। কমে গেছে গভীরতা। বছরের ৯ মাস জিঞ্জিরাম নদীতে পানি থাকে শুকনো থাকে ৩ মাস। নদীর তলদেশে বছরে একবার চাষাবাদ হয়।

 রবিবার (৭ ফেব্রুয়ার)  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায,  এই নদীর দুই পাশে বগারচর ইউনিয়নের রামরামপুর, পেরিরচর ও উত্তর সারমারাসহ গড়ে উঠেছে ১০টি গ্রাম। গ্রামগুলোতে প্রায় ২০ হাজার লোকের বসবাস। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দুই পাড়ের গ্রামগুলোতে ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

নদীর দুই পাড়েই এলজিইডির কাঁচা সড়ক রয়েছে। তাই প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থীকে জিঞ্জিরাম নদী পারাপার হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষাকালসহ বছরের ৯ মাস শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হয়ে থাকে। এ কারণে বিগত কয়েক বছরে অনেক শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে।দীর্ঘদিন ধরেই জিঞ্জিরাম নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসছেন স্থানীয়রা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সেই দাবি পূরণ হয়নি। তাই এলাকাবাসী উত্তর সারমারা গ্রামে জিঞ্জিরাম নদীর উপর একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে। পার্টিশন হিসেবে দেয়া হয়েছে মাত্র একটি বাঁশ।

এ ব্যাপারে বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচু জানান, জিঞ্জিরাম নদীর উপর একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রশাসনিকভাবে একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিদর্শন, মাপজোক ও প্রাক বাজেটও হয়েছে কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। সেখানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ হলে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধা হবে।

বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, ব্রিজটি নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। প্রাথমিকভাবে পরিমাপ করে প্রকল্প দেয়া হয়েছে। অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্ধ পেলেই ব্রিজ নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সেলিম আব্বাস/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়