মন কাড়ছে কাশ্মীরি আপেল কুল
দিনাজপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
দিনাজপুরের হিলিতে সুস্বাদু আর মিষ্টি কাশ্মীরি আপেল কুল চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন আব্দুল রাজ্জাক। বাগানের প্রতিটি গাছ ছেঁয়ে গেছে কুলে কুলে। ফলের ভারে গাছসহ ডালগুলো নিচে নুয়ে পড়েছে। বাঁশের খুঁটি দিয়ে আগলে রাখা হয়েছে। গাছে গাছে কুলের এমন দৃশ্য মন কাড়ছে মানুষের।
পাখির হাত থেকে কুল রক্ষার জন্য পুরো বাগানের ওপর জাল বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাহারা দেওয়ার জন্য বাগানের এক পাশে উঁচু করে টং ঘর বানানো হয়েছে। রাতে বাগান মালিক নিজেই টং ঘরে বসে বাগানটি পাহারা দেন।
২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৪ শতক জমিতে বরই বাগান করেছেন। কাশ্মীরি আপেল কুল বাগান হিলিতে এটিই প্রথম। আর মাত্র দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিটি গাছ থেকে ফল নামাবেন তিনি। বাজারে এই আপেল কুলের খুচরা দাম ১শ টাকা কেজি। পাইকারি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি। তিনি প্রথম বছরে ৬০ হাজার কুল বিক্রি করেছেন। চলতি মৌসুমে অন্তত আড়াই লাখ টাকার বিক্রি হবে বলে আশা করছেন। এমন হলে খরচ বাদ দিয়েও দুই বছরে তার লাভ থাকবে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
হিলির রাঙামাটি গ্রামের আব্দুল রাজ্জাক পেশায় একজন কোম্পানির চাকরিজীবী। নিজেকে স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যেই এই বাগান তৈরি করা। দুই বছর আগে কাশ্মীরি আপেল কুল বরই চাষ শুরু করেন। যশোর থেকে ১শ টাকা দরে ৬শটি কলম চারা সংগ্রহ করেন। প্রতিটি চারা প্রায় দেড় ফুট লম্বা। চারা লাগানোর ৪ মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফল আসতে শুরু করে।
বাগান মালিক আব্দুল রাজ্জাক বলেন, প্রতি বছর এই বাগান থেকে আমি প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা আয় করতে পারবো। বর্তমান আমি এখান থেকে কলম চারা তৈরি করতে শুরু করেছি। চারা থেকেও আমার বাড়তি আয় আসবে।
প্রতিবেশী লিয়াকত আলী বলেন, রাজ্জাকের কুল বাগানটি আমাদের গ্রামের সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিয়েছে। রাস্তার পাশে বাগানটি হওয়ায়, বাহির থেকে লোকজন দেখতে আসছে। তার বাগান দেখে আমিও আমার দেড় বিঘা জমিতে এই কুল চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা জানান, উপজেলায় ২ হেক্টর জমিতে মোট ১৬টি কুলের বাগান রয়েছে প্রতিটি বাগানে এবার ভাল ফলন হয়েছে।
মোসলেম/টিপু
আরো পড়ুন