মাগুরায় ফটকি নদীতে ময়লার স্তূপ, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ
মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
মাগুরার শালিখা উপজেলার কোলঘেঁষে বয়ে যাওয়া ফটকি নদীতে অবাধে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে একদিকে দূষিত হচ্ছে নদী ও এর আশেপাশের পরিবেশ। অন্যদিকে ভরাট হচ্ছে নদীর অংশ। এছাড়া নদীর দুই পাড়ে রয়েছে অবৈধ নানা স্থাপনা। যার কারণে দিনে দিনে নদীপথ সরু হয়ে যাচ্ছে।
ফটকি নদীর পাশে একটি বাজার রয়েছে। সেখানে মাংসের দোকান, মাছের বাজার, কাঁচা তরকারির বাজারসহ নানা ধরনের দোকান।
বাজারের নানা ধরনের আবর্জনা নদীতেই ফেলা হচ্ছে অবাধে। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয়রা প্রকাশ্যেই আবর্জনা ফেলছেন নদীতে। এসব আবর্জনার স্তুপ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
এখানে বর্জ্য অপসারণের কোনো ব্যবস্থা নেই। ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় পরিচ্ছন্ন কর্মীরাও নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলছেন।
এছাড়া নদীর দুই পাড়ে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনায় বসতবাড়ি যেমন রয়েছে, তেমন রয়েছে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানও। অনেকে বংশ পরম্পরায় নদীর জায়গা ভোগদখল করে আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, জবাই করা গরু ছাগলসহ পশু-প্রাণির বর্জ্য থেকে শুরু করে কাঁচাবাজারের আবর্জনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আবর্জনা, পঁচা মাছসহ সব ধরনের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ফটকি নদীতে।
ফটকি নদীটি বাঁচাতে উপজেলার ‘ফটকি বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও’ শ্লোগানে আন্দোলন করে যাচ্ছে সচেতন নাগরিকেরা।
পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম কর্মী ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের টিমের ৬৫ জন সদস্য। আমরা ফটকি নদীর অবৈধ দখলদারদের বুঝিয়েছি নদী বাঁচানোর জন্য। তাছাড়া সেখানে পাকা যেসব স্থাপনা ছিল, সেগুলো স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরানো হয়েছে। আমরা লোকজনদের সচেতন করে যাচ্ছি। নদী বাঁচলে পরিবেশ বাঁচবে। আর পরিবেশ বাঁচলে আমরাও বাঁচব।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদ বাতেন জানান, এসব আবর্জনা অপসারণের জন্য বাজার কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এরপরও নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহীন/সনি
আরো পড়ুন