ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সিলেটে গাড়ি স্ট্যান্ড উচ্ছেদ অভিযানে বাধা, সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  
সিলেটে গাড়ি স্ট্যান্ড উচ্ছেদ অভিযানে বাধা, সংঘর্ষ

সিলেট নগরের চৌহাট্টায় সড়কের পাশে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের অবৈধ স্ট্যান্ড সরাতে সিটি কর্পোরেশনের অভিযানে বাধা দেওয়ায় সিসিক কর্মী ও পুলিশের মধ‌্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

সংঘর্ষে সিসিক কাউন্সিলরসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। 

প্রায় আধাঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর ১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

সংঘর্ষ চলাকালে গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর দিকে ছুটে আসা এক পরিবহন শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম ফয়সল আহমদ ফাহাদ।

শ্রমিক নেতাদের দাবি, তারা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে গাড়ি পার্কিং করছেন। হঠাৎ করে তাদের সেখান থেকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। বিকল্প পার্কিংয়ের স্থান প্রদানের জন্য তারা মেয়রকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তা না করেই তাদের উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। বিকল্প স্থান না পেলে তারা সেখান থেকে সরে যাবেন না বলেও জানিয়েছেন।

সিসিকের জনসংযোগ শাখা জানায়, চৌহাট্টা-দরগাহ গেইট-আম্বরখানা সড়কের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এই সড়কের চৌহাট্টা অংশে অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে চারদিন আগে সিসিক মেয়রের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। তখনও শ্রমিকরা বাধা দেন। এসময় তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে সেখান থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

কিন্তু পরিবহন শ্রমিকরা সেখান থেকে সরে না গিয়ে উল্টো বুধবার সকালে উন্নয়ন কাজ বন্ধ করতে সড়কে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সিসিকের কয়েকজন কাউন্সিলর, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সেখানে যান। 

এসময় সড়ক সম্প্রসারণ কাজ শুরু করতে চাইলে শ্রমিকরা বাধা দিয়ে হামলা চালায়। এরপর পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাইলে তারা পুলিশের ওপরও হামলা করে।

সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ জানান, শ্রমিকরা আচমকা হামলা চালায়। এসময় কাউন্সিলরসহ সিসিকের অন্তত আট জন সদস্য আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে বন্দুক নিয়ে একজন শ্রমিক মেয়রের দিকে তেড়ে গেলে পুলিশ তাকে আটক করে।

সিলেট জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন বলেন, ‘সিসিকের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে আমাদের গাড়ি রাখার জন্য নির্ধারিত স্থান দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থান না দিয়েই আমাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

নোমান/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়