ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বছরজুড়ে অবহেলায় মৌলভীবাজারের শহীদ মিনার

সাইফুল্লাহ হাসান, মৌলভীবাজার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৬, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৩:১৬, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
বছরজুড়ে অবহেলায় মৌলভীবাজারের শহীদ মিনার

বছরজুড়ে অবহেলায় পড়ে থাকে শহীদ মিনার। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ছাড়া অন্য কোনো অনুষ্ঠান হয় না। দিনটি ছাড়া পুরো বছরজুড়ে অধিকাংশ শহীদ মিনার অবহেলায় অযত্নে থাকে। 

সে কারণে শহীদ মিনার দখল করে কাঁচা বাজারের ব্যবসা, কেউ সিএনজি স্ট্যান্ড আবার কেউ কেউ পান দোকানও শুরু করেছেন।  বছরের অনেক সময় তরুণ-তরুণীরা জুতা পায়ে দিয়ে শহীদ মিনারে বসে গল্প করে সময়ও পার করেন। নিয়ম রক্ষার জন্য ২১ ফেব্রুয়ারির দু-একদিন আগে কেবলমাত্র নিয়ম রক্ষার জন্য ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়।

জানা যায়, মৌলভীবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মধ্যখানের লাল বৃত্ত দীর্ঘদিন ধরে একদিকে হেলে পড়া ছিল। 

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক শহীদ মিনারে গিয়ে লাল বৃত্তটি লাল কাপড় দিয়ে মুড়ে দেন। তবে এটা মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না কেউ। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে শহীদ মিনার চত্বরে গড়ে উঠেছে সিএনজি অটোরিকশাস্ট্যান্ড। শহীদ মিনারটি অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। সেখানে সারি সারি রাখা অটোরিকশা আর তার ফাঁকফোকরে পড়ে রয়েছে মানুষের মূত্র।

রাজনগর উপজেলায় শহীদ মিনারের সামনে বসানো হয়েছে কাঁচা বাজার। পুরো বছরই শহীদ মিনারের সামনে সবজি বিক্রি করা হয়। ময়লা ও আবর্জনায় ডেকে থাকে পুরো বছর।

মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শহীদ মিনারেও শুক্রবার পর্যন্ত ময়লা আবর্জনা দেখা যায়। এদিকে জুড়ী উপজেলা শহীদ মিনারের এক পাশে নদী খননের মাটি পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এছাড়াও জেলার অনেক কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ময়লার স্তুপ ও আবর্জনা দেখা যায়। দিবস এলেই এগুলো পরিষ্কার করা হয়।

স্থানীয় একটি সংগঠন মৌলভীবাজার ফাউন্ডেশনের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক বেলাল আহমদ বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে এমনটি হচ্ছে।  শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করে পুরো বছর নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করা যেত।  কিন্তু সেটা হচ্ছে না। 

সংবাদকর্মী আশরাফুল ইসলাম বলেন, বছরজুড়ে যুবক-যুবতী ও বিভিন্ন পেশার লোকজন শহীদ মিনারে আড্ডা দেয়। সেখানে তারা বসে বাদাম খেয়ে খোসা ও চিপসের টোঙ্গা এবং ময়লা কাগজ ফেলে যায়।  এটা থেকে উত্তরণ পেতে হলে কর্তৃপক্ষকে সচেতনার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। লোকজনকে শহীদ মিনারের মহত্ত্ব বুঝাতে হবে। এই কাজগুলো না করলে শহীদ মিনারকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যাবে না।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, কোনো অবস্থাতে শহীদ মিনারকে অবহেলায় ফেলে রাখার সুযোগ নেই।  পুরো বছর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করা হবে। 

সাইফুল্লাহ/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়