ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বয়োজ্যেষ্ঠদের নিয়ে আনন্দে মেতেছিলেন ফকির আলমগীর

রফিক সরকার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১১:১৪, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
বয়োজ্যেষ্ঠদের নিয়ে আনন্দে মেতেছিলেন ফকির আলমগীর

জন্মদিনে বয়োজ্যেষ্ঠদের নিয়ে আনন্দে মেতেছিলেন গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর।  গাজীপুরের মনিপুর বিশিয়া কুড়িবাড়ী এলাকায় বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিজের জন্মদিন পালন করলেন এই জনপ্রিয় শিল্পী।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ছিল ফকির আলমগীরের ৭১তম জন্মদিন। ওইদিন বিকেলে আড়ম্বরপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতায় ‘আনন্দ আয়োজন’ শিরোনামে বৃদ্ধাশ্রমের বয়োজ্যেষ্ঠদের নিয়ে জন্মদিন পালন করেন ফকির আলমগীর।

জন্মদিনের এমন আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি। সভাপতিত্ব করেন বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক খতিব আব্দুল জাহিদ মুকুল। 

প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘ফকির আলমগীর এমন একজন মানুষ যিনি সবসময় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য সঙ্গীতের মাধ্যমে লড়াই করে গেছেন। তার আমন্ত্রণে জন্মদিনে থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। বয়স্ক পুণর্বাসন কেন্দ্রে যারা আছেন, আমরা জানি একাকী বসবাসের কী যে যন্ত্রণা। অনেক দুঃখ ব্যথা ও যন্ত্রণা নিয়ে এখানে যারা আছেন তাদের সঙ্গে একজন বিশিষ্ট ব্যাক্তির জন্মদিনটা আমরা উদযাপন করছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে রয়েছেন তাদের জন্য প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সকল প্রকার সেবা প্রদান করছেন। তারপরও পরিবারের লোকজনকে ছেড়ে থাকাটা কতটা বেদনার তা কেবল তারাই বোঝেন। সরকারের তরফ থেকে ইনডাইরেক্টলি প্রতিষ্ঠানটিকে সহায়তা করতে চেয়েছিলো কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ব্যাবস্থাপনা পরিচালক না করে দিয়েছেন। সম্পূর্ণ নিজের তহবিল থেকেই তিনি এখানে খরচ করেন।’

শিল্পী ফকির আলমগীর তার জন্মদিনের অভিব্যাক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘যাদের জীবন অবহেলিত বিপন্ন, যারা একাকীত্ববোধ করেন, যারা নিরানন্দ বোধ করেন তাদের সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন করা আমার আগেরই ঘোষণা। জাতীয় যাদুঘরে যখন ৭০তম জন্মদিন করেছিলাম তখন একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলেছিলাম আর কোন চাকচিক্য আধুনিক আলোকোজ্জল সমাবেশে আমার জন্মদিন করব না। যতদিন বেঁচে থাকব কখনো বৃদ্ধাশ্রম, কখনো পথশিশু, কখনো কুলি, কখনো মজুর, তাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে আমি আমার জন্মদিন পালন করব।’

শিল্পী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা এই বাংলাদেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমার ৭১তম জন্মদিনটি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলাম।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সালমা বেগম সুজাতা, কন্ঠশিল্পী মো. খুরশিদ আলম, পল্লীমা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর একটি দেশাত্ববোধক গানের সঙ্গে বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা আব্দুল হালিমের গায়ে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে দেন। পরে তিনি একে একে তার বেশ কিছু জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন।

গাজীপুর/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়