বান্দরবানে সংঘর্ষে নারীসহ আহত ১৬

জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বান্দরবানের লামা উপজেলায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ১৬ জন আহত হয়েছেন। 

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের পূর্বশীলেরতুয়া নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

সংঘর্ষে আহতরা হলেন- শীলেরতুয়া গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে মো. আফাস উল্লাহ (২৯), রমজান আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম (২১), ছিদ্দিক আহমদ কারবারীর ছেলে আবদুল মন্নান (৪০), জাফর আলমের মেয়ে নাজমা আক্তার (১৬), বাহার উদ্দিনের স্ত্রী জোসনা বেগম (৩৫), আবদুল হাকিমের ছেলে জাফর আলম (৪০), মো. শাহজাহানের ছেলে মো. লিটন (২০), ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে রহমত আলী (৩০), আবুল কালামের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (২৫), নুরুল হুদার স্ত্রী রৌশন আরা (৪৫), আবদুল হাকিমের ছেলে মো. বেলাল (২৮), মো. বেলালের ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান (২০), রমজান আলীর স্ত্রী সাবেকুন্নাহার (৩৮), জয়নাল আবেদীনের ছেলে রজব আলী (৪৫), মনির হোসেনের স্ত্রী সামশুন্নাহার (২৫) ও মো. জাফর আলমের স্ত্রী কোহিনুর বেগম (৪০)। 

এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছয় জনকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, ছিদ্দিক আহমদ কারবারীর নামে নয়াপাড়া গ্রামে আট একর জমি রয়েছে। এ জমিতে বহু অর্থ ও কায়িক শ্রমে বিভিন্ন ফলদ বনজ ও গোদা বাঁধ দিয়ে মাছের খামার নির্মাণ করে ভোগ করে আসছেন ছিদ্দিক আহমদ কারবারীর ছেলে রমজান আলীসহ অন্য ওয়ারিশরা। 

সম্প্রতি ওই জমি হাকিম আলীর ছেলে জাফর আলম, আবুল হোসেন ও মো. বেলাল হোসেনরা দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা মোকাদ্দমা চলমান আছে। 

শনিবার দুপুর ১টার দিকে তামাক ক্ষেতে পানি দিতে ও মাছ ধরার জন্য জাফর আলমরা বিরোধীয় মাছের খামারে দুটি পাম্প মেশিন বসায়। খবর পেয়ে রমজান আলীরা বাঁধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হয়।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক দিদারুল মেহের বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ১৬ জনের মধ্যে আমিনুল ইসলাম, কহিনুর বেগম, রোশন আরা বেগম, আমিরুল ইসলাম, আব্দুল মন্নান, সাবেকুন নাহার, রজ্জব আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।’

রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রু মার্মা জানান, শনিবার দুপুরে জাফর আহমদ মনার লোকজন বিরোধীয় জমির ওপর নির্মিত মাছের গোদা থেকে জমিতে সেচ দিতে গেলে রমজান আলীর লোকজন বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘জমি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’