ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘গাজা বাগান’ সন্দেহে পুলিশি অভিযান

সাভার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  
‘গাজা বাগান’ সন্দেহে পুলিশি অভিযান

ঢাকার সাভারে একটি বাড়ির বাউন্ডারির ভিতর বিপুল পরিমাণ গাজা গাছ চাষ করা হয়েছে, এমন সন্দেহে অভিযান চালায় পুলিশ। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। 

পুলিশ বলছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আশুলিয়ার খেজুর বাগান মোল্লা বাড়ি গলি এলাকায় সোহেল হোসেনের মালিকানাধীন বাউন্ডারির ভিতরে পুলিশ অভিযান চালায়। 

তবে রাত ১০ টা নাগাদ আশুলিয়া থানা পুলিশকে ওই বাড়ির বাউন্ডারির ভিতর অবস্থান করতে দেখা যায়।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একটি বাড়ির সুউচ্চ বাউন্ডারির ভেতর সারিবদ্ধভাবে লাগানো বিপুল সংখ্যক গাজা সদৃশ্য গাছ। বাইরে থেকে গাজা গাজার মত গন্ধও ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। তবে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিষয়টি তাদের জানা নেই বলে জানানো হয়েছে। 

বাউন্ডারির ভিতরে থাকা নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা হাবিবুর রহমান বলেন, এই জায়গার মালিক সোহেল আহমেদ। তিন মাস আগে তিনি এখানে নিরাপত্তার কাজ নেন। আর তিন মাস আগেই অনেক লোক এসে এই গাছের চারা এখানে লাগান। কিন্তু মালিক তাকে বলেছিল বিদেশী ফুল গাছ। এগুলো গাজা গাছ কি না আমি জানি জানি না।


তিনি আরো বলেন, ‘জায়গার মালিক জমি কিনে বিক্রি করেন। বাড়ি তৈরি ও কেনাবেচার কাজ করেন। পাশেই ওনার আরও বাড়ি আছে।

ঘটনাস্থলের পাশের বাসিন্দা একটি গার্মেন্টের নিরাপত্তা কর্মী ফজলুল হক বলেন, আমি পাশেই থাকি। সোহেল নামে এক ব্যক্তি জায়গার মালিক। তবে আগে যে এই জায়গা দেখাশুনা করতো সে সবজি চাষ করতো। নতুন করে আরেকজন ভিতরে নিরাপত্তার কাজ নিয়েছেন। তবে ভিতরে গাজার গাছ আছে কি না আমি জানি না। 

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. শামীম বলেন, গাজার চাষ হয়েছে এমন খবরে তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন। এসআই এমদাদ স্যার আমাকে এখানে রেখে একটু বাইরে গেছেন। আপনারা ওনার সাথে কথা বলেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, আজ পুলিশ এসে গাছগুলো নাড়া দেয়ার পরপর পুরো এলাকায় গাজার মতো গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় মাথা ঘুরে যাচ্ছিল।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, ‘এটা একচ্যুয়ালি গাজা গাছ কিনা তা আমরা পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখতেছি। আমরা স্যাম্পল নিয়ে আসছি। এটা ওরা (মালিকপক্ষ) বলতেছে, এই গাছটি দিয়ে ওজিটি ওয়েল তৈরি করে। তবে গাছটি গাজা গোত্রেরই। এরা নাকি বাইরে এক্সপোর্ট করার জন্য করছে এটা। তবে কনফার্ম না যাচাইবাচাই চলছে।’

নেশার উপাদান আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কৃষি অফিসার ও বিভিন্ন মাধ্যমে ফোন করে যেটুকু জানলাম এটাতে নেশার উপাদান আছে। তবে নেশার উপাদান কতটুকু আছে তবে মাত্রার পরিমান জানা না গেলে বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

সাব্বির/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়