রাঙ্গাবালী থানা সংলগ্ন সড়কে সীমাহীন দুর্ভোগ
জাওয়াদুল কবির || রাইজিংবিডি.কম
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানা সংলগ্ন সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ইট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সড়কে। উঠে যাওয়া ইট বিপজ্জনকভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এর মধ্য দিয়ে চলাচল করার কারণে ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গাবালী থানা থেকে শুরু করে পূর্ব বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য আড়াই কিলোমিটার। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে এইচবিবি দ্বারা দেড় কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে এলজিইডি।
পরে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বাকি এক কিলোমিটারও এইচবিবি সড়ক করা হয়। এতে নিন্মমানের ইট ব্যবহার করা হয়। এ কারণে চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই সড়কের ইটগুলো ভেঙে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এরপর আর সড়কটি সংস্কার করা হয়নি।
সরজমিনে দেখা গেছে, রাঙ্গাবালী বাহেরচরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গাবালী হাইওয়ে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছোটবাইশদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও আমলীবাড়িয়া সিনিয়র মাদ্রাসার কয়েকশ’ শিক্ষার্থী সড়কটি দিয়ে চলাচল করে।
ঝুঁকিপূর্ণ সড়কটিতে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করতে না পারায় দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট হয়। শুকনো মৌসুমে কোনও মতে চলাচল করা সম্ভব হলেও, বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ এলাকার মানুষ কৃষি নির্ভর। তাই উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য উপজেলা সদর, জেলা সদর ও গলাচিপায় নিতে সীমাহীন কষ্ট ভোগ করতে হয় কৃষকদের। বৃষ্টি হলেই সড়কটি জলাশয়ে পরিণত হয়। হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে থাকে।
স্থানীয় ব্যাবসায়ী তালেব ফকির বলেন, ‘সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা ব্যাবসার মালামাল ঠিকভাবে আনা-নেওয়া করতে পারি না। এ রাস্তায় গাড়ি চলাচল করতে পারে না। অতিরিক্ত ভাড়া না দিলে গাড়ি মালিকরা মালামাল পরিবহন করেন না। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার।’
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. মিজানুল কবির জানান, সড়কটি পাকা করতে জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য তার বরাদ্ধ থেকে অর্থ দেওয়ার জন্য সম্মতি প্রকাশ করেছে। বরাদ্ধ পেলে সড়ক নির্মাণ করা হবে।
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)/সনি
আরো পড়ুন